ছবি: সংগৃহীত
পরিবেশবান্ধব হোগলাপাতার পাটি দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো পূজামণ্ডপ। মাঝে বাঁশ আর বেত দিয়ে বানানো হয়েছে বিভিন্ন সাজ। মণ্ডপের বিভিন্ন স্থানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে মাটির টেরাকোটার শিল্পকর্ম, যা সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়েছে।
মণ্ডপে আশা দর্শনার্থীদের কেউ নান্দনিক সৌন্দর্যের ছবি তুলছেন, কেউ কেউ ব্যতিক্রমী এ মণ্ডপের ভিডিও চিত্র ধারণ করছেন।
গতকাল বুধবার (১লা অক্টোবর) রাতে কুমিল্লা নগরের দিগম্বরীতলায় শ্রীশ্রী গুপ্ত জগন্নাথমন্দিরে প্রবেশ করতেই এমন নান্দনিক সাজ দেখা গেল। ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে এখানে শারদীয় দুর্গোৎসব করা হয়।
এবারের দুর্গাপূজায় মণ্ডপের নান্দনিক কাজ দেখে সবাই মুগ্ধ হচ্ছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বী ও দর্শনার্থীরা বলছেন, প্রাকৃতিক কাঁচামালের ব্যবহার যেমন সৌন্দর্য বাড়িয়েছে, তেমনি পরিবেশের জন্যও তৈরি করেছে ইতিবাচক এক দৃষ্টান্ত।
কুমিল্লা নগরে এবার ৬৮টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করা হচ্ছে। এর মধ্যে নান্দনিক সাজের কারণে জগন্নাথমন্দিরের দুর্গাপূজা ব্যতিক্রমী এক আবহ তৈরি করেছে। মণ্ডপটির পূজা উদ্যাপন কমিটির সদস্যরা বলছেন, পরিবেশবান্ধব মণ্ডপ তৈরির ইচ্ছা থেকেই এবার পুরো মণ্ডপকে ভিন্নরূপে সাজানো হয়েছে।
মণ্ডপ নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে গ্রামীণ জীবনের পরিচিত বেশ কিছু উপাদান, যার বেশির ভাগই হোগলাপাতার পাটি। এ ছাড়া বাঁশ, বেত ও মাটির টেরাকোটার শিল্পকর্ম দৃষ্টিনন্দন করেছে মণ্ডপটিকে।
জগন্নাথমন্দির পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পিন্টু বণিক প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবছরই জাঁকজমকপূর্ণ সাজসজ্জার জন্য বিপুল পরিমাণ সিনথেটিক ও প্লাস্টিক উপকরণ ব্যবহৃত হয় সব মণ্ডপে। কিন্তু সেগুলো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই এবার তারা চেষ্টা করেছেন সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব উপাদানে মণ্ডপ সাজাতে। এই মণ্ডপের ‘আইডিয়া’ তার ছেলের বলে তিনি জানান।
পিন্টু বণিকের ছেলে অনিন্দ বণিক বলেন, ‘হঠাৎ করেই বিষয়টি মাথায় আসে। ব্যতিক্রম ও পরিবেশের ক্ষতি ছাড়া কিছু করার চিন্তা থেকেই এমন আয়োজন। মণ্ডপ সাজাতে ব্যবহৃত হোগলাপাতাগুলো আমরা খুলনা থেকে এনেছি। মাটির টেরাকোটাগুলো আমরা নিজেরা তৈরি করেছি। আমি ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাতজন শিক্ষার্থী মোট ২৫ দিন কাজ করে মণ্ডপটিকে সাজিয়ে তুলেছি। সবাই কাজটি পছন্দ করেছেন, এটাই আমাদের আত্মতৃপ্তি।’
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন