ছবি: সংগৃহীত
এক-দুটি নয়, ছ-ছটি স্ত্রীকে নিয়ে এক বাড়িতে থাকেন ব্রাজিলের এক যুবক। ওই যুবকের নাম আর্থারওউরসো। ২৭ বছর বয়সী উরসোর ভাগ্যবান স্ত্রীরা হলেন— লুয়ানা কাজাকি (২৭), এমিলি সউজা (২১), ভালকুইরা সান্তোস (২৪), ওলিন্ডা মারিয়া (৫১), দামিয়ানা (২৩) এবং আমান্দা আলবুকারুক (২৮)।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক ছাদের নিচে সবাইকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন এই তরুণ। পেশায় তিনি একজন মডেল। ছয় স্ত্রীকে তিনি সমান ভালোবাসেন। যত্ন নেন। মুটামুটি সব বয়সের স্ত্রী আছে তার ঘরে। স্ত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়স যার তার বয়স ২১। আর সবচেয়ে বেশি বয়োজ্যেষ্ঠ স্ত্রীর বয়স ৫১। এর আগে নয় জন স্ত্রী ছিল এই মডেলের। জীবনকে উপভোগ করতেই এতো বিয়ে করেছিলেন তিনি।
কিন্তু এতো সংখ্যক স্ত্রীদের নিয়ে শান্তিতে বাস করতে পারছিলেন না তিনি। তার জীবন হয়ে গেছিল ফিকে। একের পর এক সমস্যা লেগেই ছিল তাদের সংসারে। এমনকি মডেল আর্থার সংবাদ সংস্থার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁরও স্ত্রীর সিদ্ধান্তে বেশ খানিকটা হতাশ ও হয়রান হয়েছেন তিনি ৷ তবে এতো সংখ্যক স্ত্রী নিয়ে সামাজিক ভাবেও তিনি প্রেসারে ছিলেন।
যে কারণে এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নয়জনের মধ্যে চার জনকে ডিভোর্স দিয়েছেন তিনি। এমন কাণ্ডে, খবরের শিরোনামও হয়েছিলেন এই যুবক।
আর্থার বলেন, ছয় জনেই আমার প্রিয়। সবাইকে নিয়ে বেশ ভালো আছি আমি।
ব্রাজিলে যেহেতু বহুবিবাহ নিষিদ্ধ, যে কারণে অর্থার প্রথম স্ত্রীকেই শুধু আইনি ভাবে বিয়ে করেছে। অন্য স্ত্রীদের তিনি বিয়ে করছেন গির্জায় গিয়ে। তবে নিজের এই বহুগামী সম্পর্ককে আলাদা মাত্রাও দেন মহা ধূমধামের সঙ্গে। তার প্রথম স্ত্রী লুয়ানার পূর্ণ সম্মতিতেই অন্য পাঁচ স্ত্রীকে আর্থার ঘরে এনেছিলেন বলে জানিয়েছেন তার অন্য এক স্ত্রী অলিন্ডা। সকলকে নিয়ে থাকার জন্য ব্রাজিলের জোঁ পেসোয়া শহরে প্রাসাদোপম একটি বাড়ি বানিয়েছেন আর্থার। এখন এক ছাদের নিচে আছেন তারা।
আর্থার জানিয়েছিলেন, সকলের মন রাখতে একটি রুটিন তিনি বানিয়ে নিয়েছেন। কবে কখন কোন স্ত্রীর সঙ্গে ঠিক কতটা সময় তিনি কাটাতে চান, কোন সময় কী করতে চান, রুটিনে সে সব লেখা ছিল। সেই রুটিন অনুযায়ী দিন কাটান আর্থার।
ওআ/