সম্প্রতি তথাকথিত স্ট্যান্ডার্ড মানচিত্র হিসেবে চীন নতুন একটি মানচিত্র প্রকাশ করার পর থেকেই রীতিমতো সমালোচনার শিকার হচ্ছে। বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই এ মানচিত্র প্রত্যাখ্যান করেছে। এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হলো জাপানের নাম।
জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মাতসুনো হিরোকাজু বলেন, নতুন মানচিত্রে সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের মালিক হিসেবে চীনকে দাবি করা হয়েছে। তবে ইতিহাস ও আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে এ দ্বীপপুঞ্জের আসল মালিক চীন নয়, জাপান।
জাপান কূটনৈতিকভাবে চীনের কাছে এ মানচিত্রের ব্যাপারে জবাবদিহিতার দাবি জানায় এবং মানচিত্রটি প্রত্যাখ্যান করে।
অন্যদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জাপান সরকারের এ প্রতিবাদকে প্রত্যাখ্যান করেন।
চীন ও তাইওয়ানের সাথে সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে জাপানের বিরোধিতা থাকলেও এখন পর্যন্ত এ দ্বীপপুঞ্জ জাপানের দখলেই রয়েছে।
ভারত ছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম এবং তাইওয়ানও চীনের এ মানচিত্র প্রত্যাখ্যান করে।
তাইওয়ান সরকার এ ব্যাপারে বলেন যে একটি মানচিত্র কখনোই তাদের অস্তিত্বকে পরিবর্তন করতে পারবে না। অন্যদিকে নেপাল সরকার চীনকে তাদের পুরাতন মানচিত্রের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানান।
গত ৩১ আগস্ট, ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি বলেন, চীনের নতুন মানচিত্রের আঞ্চলিক রেখা অংকন ১৯৮২ সালের সাগর আইন সম্পর্কিত জাতিসংঘের কনভেনশনের নিয়ম মেনে করা হয় নি।
গত ২৮ আগস্ট চীন এই স্ট্যান্ডার্ড মানচিত্র প্রকাশিত করে। এ মানচিত্রে দক্ষিণ চীন সাগরের একটি বৃহত্তর অংশের উপর চীনা মালিকানা দেখানো হয়। ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া এবং ব্রুনাই দক্ষিণ চীন সাগরের উপর তাদের মালিকানারা দাবি করেছে।
ভারতের অরুণাচল প্রদেশকেও চীনের অংশ হিসেবে দেখানো হয় মানচিত্রে। ভারত চীনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে যে তাদের ভূখণ্ডের উপর চীনের দাবি জানানোর কোন অধিকার নেই।
এ ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেন, বরাবরই চীন অন্য দেশের সীমানার উপর নিজেদের মালিকানা জোরপূর্বক প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু এতে করে সীমানা সমস্যা আরো বাড়বে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চীনের অযৌক্তিক দাবিগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেন।
এসকে/ এএম/
খবরটি শেয়ার করুন