প্রতীকী ছবি
ফ্যাশন সচেতন অনেকেই টাইট ফিট বা আঁটোসাঁটো পোশাক পরতে পছন্দ করেন। তবে জানলে অবাক হবেন, টাইট ফিটিং পোশাক পরা স্বাস্থ্যের জন্য হতে পারে ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অত্যন্ত আঁটোসাঁটো পোশাক পাকস্থলী ও অন্ত্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। ফলে হজমের সমস্যা হতে পারে। যদি পোশাকটি খুব টাইট হয় ও আপনার ত্বকে চাপ প্রয়োগ করে তাহলে সেটি রক্ত প্রবাহকে প্রভাবিত করতে পারে বা স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে।
এছাড়া খুব টাইট পোশাক পরলে ত্বকে জ্বালা, চুলকানি কিংবা ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। যদি পোশাক আপনার ত্বকে লাল দাগ বা চাপের চিহ্ন রেখে যায় বা শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় তাহলে অবশ্যই সেগুলো পরা এড়াতে হবে।
ভারতের ডিএনএ স্কিন ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি ত্বকে টাইট পোশাকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানিয়েছেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
জ্বালাপোড়া
আঁটোসাঁটো পোশাক পরলে উরু কিংবা বগলে ঘর্ষণের ফলে জ্বালাপোড়া হতে পারে, যা পরবর্তী সময়ে যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে।
ছত্রাক সংক্রমণ
আঁটোসাঁটো পোশাক যা সিনথেটিক ফাইবার দিয়ে তৈরি ও ত্বককে শ্বাস নিতে দেয় না এমন পোশাক পরলে ত্বকে ছত্রাক বেড়ে যেতে পারে। ফলে জক ইচ বা অ্যাথলিটের পায়ে সংক্রমণ হতে পারে।
ব্রণ
আঁটোসাঁটো পোশাক ত্বকের বিরুদ্ধে ঘাম ও তেল আটকে রাখতে পারে, যা ত্বকের ছিদ্র আটকে দিতে পারে। ফলে ত্বকে ব্রণ ও ফুসকুড়ির সৃষ্টি হয়।
দুর্বল রক্ত সঞ্চালন
টাইট বেল্টযুক্ত প্যান্ট/স্কার্ট পরলে ত্বকের সংবেদনশীলতা, লালভাব, রক্ত প্রবাহে বাধার সমস্যা হতে পারে। এমনকি কোমরের চারপাশে চিহ্নও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
আরো পড়ুন: স্লিম লুকের জন্য কেমন ব্লাউজ পরবেন
কর্সেট, ব্লাউজের মতো অন্যান্য আঁটোসাঁটো পোশাক পরলে রক্ত চলাচলে সমস্যা হয়। ডা. রেড্ডি জানান, আরামদায়ক ও ত্বককে শ্বাস নিতে দেয় এমন পোশাক পরা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি আঁটোসাঁটো পোশাক পরার কারণে ত্বকে জ্বালা বা অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে ঢিলেঢালা পোশাক বা প্রাকৃতিক ফাইবার থেকে তৈরি পোশাক পরুন। কৃত্রিম বা নাইলনের কাপড় এড়িয়ে চলুন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
এম এইচ ডি/