ছবি: সুখবর
বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস চিকিৎসায় জনপ্রিয় হয়ে উঠা ইনসুলিন পাম্প সেন্টার স্থাপন করা হলো রাজধানীর এভারকেয়ার হসপিটালে। এসিআই হেলথকেয়ার ইকুইপমেন্টের কারিগরী সহযোগিতায় বাংলাদেশে প্রথমবারের স্থাপিত এই কেন্দ্র থেকে খুব সহজেই ডায়াবেটিস রোগীরা ইনসুলিন পাম্প সেবা গ্রহন করতে পারবেন।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইনসুলিন পাম্পের নানা দিক তুলে ধরেন এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার প্রধান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. রত্নদ্বীপ চাস্কর, পরিচালক ডা. আরিফ মাহমুদ, এসিআই ফার্মা এবং এসিআই হেলথকেয়ার ইকুইপমেন্টের মেডিক্যাল সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান ডা. রুমানা দৌলা, এভারকেয়ার হাসপাতালের ডায়াবেটোলজি ও এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক আব্দুল মান্নান সরকার, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আহসানুল হক আমিন, ডা. নাজমুল ইসলাম জেনারেল সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. শেখ মোহাম্মদ আবু জাফর ও মেডট্রনিক বাংলাদেশের রিজিওনাল ম্যানেজার মো. রোকনুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে এসিআই ফার্মা এবং এসিআই হেলথকেয়ার ইকুইপমেন্টের মেডিক্যাল সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান ডা. রুমানা দৌলা বলেন, পাম্প পদ্ধতি ইনসুলিন সুইয়ের মাধ্যমে গ্রহণ করার যন্ত্রণা থেকে কোটি কোটি ডায়াবেটিসের রোগীকে পরিত্রান দিবে। সিজিএম সিস্টেম হলো ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার মতো, মানে প্রতি মুহূর্তের ঘটনা এতে ধরা পড়ে অর্থাৎ প্রতি মুহূর্তের শর্করা পরিমাপ করা যায়। এটি গ্রাফের মাধ্যমে রক্তে শর্করার ওঠানামা ও পরিবর্তনগুলোকে নির্ণয় করে।
তিনি বলেন, এর সঙ্গে ছোট্ট একটি মুঠোফোনের আকৃতির ইনসুলিন পাম্প বেল্টের সাহায্যে পেটের সঙ্গে লাগিয়ে দেওয়া হয়। একটি অতি সূক্ষ্ম প্লাস্টিকের নল ত্বকের নিচে চলে যায়, যা দিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী ইনসুলিন দেহে প্রবেশ করে। এটি দেহে লাগিয়ে দৈনন্দিন কাজকর্ম, খেলাধুলা, ব্যায়াম, গোসল—সবই অনায়াসে করা যায়। এই যন্ত্র অগ্ন্যাশয়ের মতোই রক্তে শর্করার ওঠানামা মেপে কী পরিমাণ ইনসুলিন দরকার তা জানিয়ে দেবে ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সেই পরিমাণ ইনসুলিন দেহে ঢুকিয়ে দেবে।
মেডট্রোনিক বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড এর রিজিওনাল ম্যনেজার, মো. রোকনুজ্জামান "৭৮০জি ইনসুলিন পাম্প" ব্যবহারে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপকারিতা ও সহজেই ব্যবহার করার বিষয়টি তুলে ধরেন।
এসকে/ এএম/