সোমবার, ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩১শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বালিশের কুশনের যত্ন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:০৮ অপরাহ্ন, ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি-সংগৃহীত

অন্দরের সাজসজ্জার ক্ষেত্রে বালিশের গুরুত্ব জানা সবার। কিন্তু অনেকেই সঠিকভাবে কুশনের যত্ন নিতে জানেন না বিধায় শখের সজ্জা নষ্ট হয়। 

কুশনের যত্নের ক্ষেত্রে ঋতু, আবহাওয়া এবং পরিস্থিতিও জরুরি। সবকিছুই এখানে গুরুত্বপূর্ণ। তবে কুশনের যত্নে যা যা করতে পারেন তার একটি স্বাভাবিক ক্রম দেওয়া হলো: 

ধুলো-ময়লা, ঘামের হাত থেকে বালিশ পরিষ্কার রাখতে চেইন দেওয়া বালিশের কভার ব্যবহার করুন। এতে ময়লা কম হবে। চেইন দেওয়া কভার না থাকলে বালিশে দুটো কভার ব্যবহার করুন। এতে বালিশের ফেব্রিক পরিষ্কার থাকবে। বালিশের কভার এক সপ্তাহ অন্তর বদলে ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারের জন্য সুতির মোটা কভার বেছে নিন।

সপ্তাহে একবার বালিশগুলো ভ্যাকুয়াম করুন। সহজে ধুলোময়লা পরিষ্কার হবে। ঘামে বালিশ ভিজে গেলে ড্রয়ারে ৫-১০ মিনিট লো-হিট তাপমাত্রায় রেখে বালিশ শুকনো করে নিন।

তুলার তৈরি বালিশ সপ্তাহে এক দিন রোদে দিন। বালিশ নরম থাকবে। তিন-চার বছর অন্তর তুলা বদলে ফেলুন। বালিশ ভালো থাকবে। সিনথেটিক ফাইবারে তৈরি বালিশ ঘরেই পরিষ্কার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ঈষদুষ্ণ পানিতে মাইল্ড ডিটারজেন্ট দিয়ে বালিশ পরিষ্কার করে ঠান্ডা পানিতে ভালো করে বালিশ ধুয়ে নিন।

ওয়াশিং মেশিনেও এ ধরনের বালিশ পরিষ্কার করা যায়। প্রথমে বালিশ চেপে ভেতরের হাওয়া বের করে দিন। এবার ওয়াশিং মেশিনে বালিশ দিয়ে জেন্টল ওয়াশ সাইকেল বাটন প্রেস করুন। পরিষ্কার হওয়ার পর শুধু পানিতে বালিশগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। শেষে পানিতে ২-৩ ফোঁটা ভিনিগার মিশিয়ে তাতে বালিশগুলো একবার ডুবিয়ে তুলে নিন। বালিশের গায়ে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

বালিশের কভার ধোয়ার পর কাপড় মেলার তারে এমনভাবে ক্লিপ আটকে দিন যাতে ভালো করে আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে। এতে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে। শিশুদের বালিশের কভার ধোয়ার পর পানির মধ্যে কয়েক ফোঁটা অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড দিয়ে কভার ডুবিয়ে নিংড়ে মেলে দিন।

আরো পড়ুনবর্ষাকালে পাহাড়ে ঘুরতে যাচ্ছেন, কিন্তু প্রস্তুতি নিয়েছেন কি?

একই বালিশ বছরের পর বছর ব্যবহার করবেন না। বালিশ বেশি পুরোনো হয়ে গেলে ভেতরের তুলা শক্ত হয়ে যায়। শেপও খারাপ হয়ে যায়। এ রকম বালিশে শুলে কিন্তু ঘাড় ব্যথা অবধারিত। বালিশ ব্যবহারের উপযুক্ত আছে কি না তা বোঝার একটা সহজ উপায় আছে।

বালিশ দুই পাশ থেকে ধরে ভাঁজ করে ছেড়ে দিন। যদি বালিশ আবার আগের শেপে ফিরে যায় তাহলে বুঝবেন বালিশ ঠিক আছে। না হলে বুঝবেন নতুন বালিশ কেনার সময় হয়েছে।

বালিশ স্টোর করতে হলে প্লাস্টিকের ব্যাগে বালিশ ঢুকিয়ে আলমারিতে রাখবেন না। তার বদলে নরম সুতির চাদরে বালিশ মুড়ে আলমারিতে বা বক্স খাটে রাখতে পারেন।

এসি/ আই. কে. জে/ 


বালিশ কুশন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন