মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক *** সংসদে সংরক্ষিত আসন চায় দলিত সম্প্রদায় *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির শোক *** সাগরিকার হ্যাটট্রিকে নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক *** হাসপাতাল এলাকায় অহেতুক ভিড় না করার অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার *** নিরীহদের হয়রানি না করতে অনুরোধ গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির *** পাইলট বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নেওয়ার চেষ্টা করেন: আইএসপিআর *** বিসিবির সিদ্ধান্ত বদল, স্টেডিয়ামে খাবার নিয়ে ঢুকতে মানা *** বিমান দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য বাঁচলেন অভিনেত্রী সানা

মরুভূমির খেজুর চাষে সাফল্য, বছরে আয় ৫ লাখ টাকা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, ১৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি-সংগৃহীত

দেশে দিন দিন আরব খেজুর চাষ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বিভিন্ন জেলার মানুষ মরুভূমির এই খেজুর চাষে ঝুঁকছেন। এতে কমছে বেকারত্ব এবং বাড়ছে কর্মসংস্থান। কৃষকদের পাশাপাশি তরুণ যুবকরাও খেজুর বাগান করতে আগ্রহী হচ্ছেন। ভালো ফলন আর দামের কারণে আয় হচ্ছে লক্ষাধিক টাকা।

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ছোটকাচনা গ্রামের সোলায়মান খান সৌদি আরবের খেজুর চাষ করে বছরে ৪-৫ লাখ টাকা আয় করছেন। চারা রোপনের পর পূর্ণ ফল পাওয়ার জন্য তাকে ৩ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।

ইউটিউবে খেজুরের বাগান দেখে নিজে বাগান করতে আগ্রহী হন। ২০১৯ সালের মে মাসে বন্ধুর মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে বীজ সংগ্রহ করেন। পরে রংপুর, গাজীপুর, নরসিংদী থেকেও সৌদির খেজুরের চারা সংগ্রহ করে বাড়ির পশ্চিম পাশের জমিতে রোপন করেন তিনি। প্রায় ২ বিঘা জমিতে ১০০টি খেজুরের চারা রোপন করেন।

বাগান করতে তার ৪ লাখ টাকা খরচ হয়। ৩ বছর পর কয়েকটি গাছে ফল আসে। সেখান থেকে খেজুর বিক্রি করছেন এবং নার্সারী করে চারা বিক্রি শুরু করেন। বর্তমানে খেজুর ও চারা নিয়মিত বিক্রি করছেন। তার বাগানের খেজুর অত্যন্ত মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় দিন দিন তার খেজুর ও চারার চাহিদা বাড়ছে।

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ৩ বছর কঠোর পরিশ্রম করে সফলতা পেয়েছেন সোলায়মান। তার গাছের খেজুর মিষ্টি। তাকে দেখে অনেকেই বাগান করতে আগ্রহী হচ্ছেন। অনেকে আসছে খেজুর ও চারা কিনতে এবং বাগান দেখতে।

এ ব্যাপারে সোলায়মান খান বলেন, এখন খেজুর বাগান থেকে বাৎসরিক আয় হচ্ছে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা।

সোলায়মান বলেন, প্রথম ৩টি গাছে খেজুর ধরে। এবার ১৩-১৪টি গাছে খেজুর ধরেছে। এবার সব গাছের খেজুর গাছে থাকা অবস্থায়ই ঢাকার এক ক্রেতার কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। পাকার পর ওই ক্রেতা খেজুরগুলো নিয়ে যাবেন।

আরো পড়ুন: প্রবাসফেরত নিজাম, গরুর খামার থেকে বছরে আয় ৬ লাখ

এদিকে আকার ভেদে ১-২ হাজার টাকা করে একেকটি চারা বিক্রি করেন তিনি। এখন পর্যন্ত খেজুরের চেয়ে চারা বেশি বিক্রি করেছেন।

নাগেরপাড়া পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল খান বলেন, আমাদের সোলায়মান সৌদি আরবের খেজুর চাষ করে সফল হয়েছে। অনেকেই তাকে দেখে খেজুরের বাগান করতে উৎসাহিত হচ্ছে। এতে করে দেশে আয় বৃদ্ধি পাবে এবং খেজুরের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হবে।

এসি/ আই. কে. জে/ 



মরুভূমি খেজুর চাষ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন