ছবি-সংগৃহীত
মঙ্গলবার (২৮শে নভেম্বর) ট্রেনে কাটা পড়া এশিয়া কনটেস্টে পুরস্কারপ্রাপ্ত তৈমুরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (১লা ডিসেম্বর) একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন রুনা। তার ওই স্ট্যাটাস থেকে জানা যায় তৈমুরের প্রকৃত মৃত্যু রহস্য।
তরুণ নির্মাতা নূর ই আলম তৈমুরের মৃত্যুর তিন দিন পার হলো। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে কানে হেডফোন লাগিয়ে কথা বলতে বলতে রেললাইন পার হওয়ার কথা বলা হলেও- এটা মোটেও সত্য নয় বলে দাবি করেছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খান।
রুনা খানের ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়-
রেললাইনে কাটা পড়ে মারা গেলেন তৈমুর। রেল পুলিশ বললো, তৈমুরের কানে হেডফোন ছিল। তারা শুনেছে প্রত্যক্ষদর্শীর কাছে। অমনি ছড়িয়ে গেল তৈমুর মারা গেছেন কানে হেডফোন দিয়ে রেললাইন পার হতে গিয়ে। এরপর আমরা অনেকেই তৈমুরকে দোষারোপ করতে লাগলাম।
কেন তুই কানে হেডফোন দিয়ে রেললাইন পার হবি? আমরা মৃত তৈমুরের প্রতি শোক অনুভব করলাম না, অসতর্ক তৈমুরকে দোষারোপ করলাম। স্বাভাবিক।
আরো পড়ুন: শাহরুকের ‘পাঠান’কে পেছনে ফেলে এগিয়ে রণবীরে ‘অ্যানিমেল’
কিন্ত তৈমুরের স্ত্রী সেটা মানতে নারাজ। একে স্বামীর মৃত্যুর শোক, অন্যদিকে এমন অভিযোগ যেটা বিশ্বাসযোগ্য না। কেননা তিনি হেডফোনে স্বামীকে কখনো গানই শুনতে দেখেন না।
শেষে স্ত্রী মাসনুনার চেষ্টায় জানা গেল, এক নারীকে বাঁচাতে ছুটে গিয়েছিলেন তৈমুর। ওই নারী বাঁচলেও বিপরীত দিক থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আসা আরেকটি ট্রেনের ধাক্কা খেয়ে মারা যান তৈমুর। খিলক্ষেত রেল ক্রসিংয়ের আশপাশের সবাই দেখেছে এই দৃশ্য।
একজনকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিলেন যুবক, এমন সত্য আড়াল হয়ে যাওয়া উচিত নয়।
এসি/ আই.কে.জে/