ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
দীর্ঘ ৮ বছরের প্রবাস জীবন কাটিয়ে সম্প্রতি দেশের মাটিতে পা রেখেছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন। প্রবাস জীবনে একপ্রকার গানের বাইরেই ছিলেন তিনি। তার অভিযোগ, ১৬ বছর তাকে গান গাইতে দেওয়া হয়নি। ভক্তদের থেকে তাকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
দেশে ফেরার পর গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেবী নাজনীন জানালেন, ‘আমি হয়তো দেশে আসতেও পারতাম। কিছু বাধা ছিল। হয়তো আমি বিমানবন্দর পর্যন্ত আসতে পারতাম। কিন্তু দেশে ঢুকতে পারতাম না। তাই এতোদিন প্রবাস জীবন কাটানো।’
ব্ল্যাক ডায়মন্ড খ্যাত এই শিল্পী বলেন, ‘আমি গত ১৬ বছর কাজ করতে পারিনি। আমার ভক্তরা আমাকে কতো ভালোবাসেন তা বলে বোঝানো যাবে না। আমি তাদের ভালোবাসা পেয়েই অভ্যস্ত। এই যে তাদের কাছে থেকে আমাকে দূরে সরানো হলো, এটাই তাদের বড় ষড়যন্ত্র। আমি একজন শিল্পী। আমাকে গান গাইতে দিলে তাদের কি ক্ষতি হতো, সেটাই আমি বুঝতে পারিনি।’
প্রবাস জীবনে চাইলেও গান করে ইউটিউবে ছাড়তে পারতেন। কিন্তু সেটা তিনি করেন নি। কারণ, তিনি জাতীয় একজন শিল্পী। ইউটিউব ভিত্তিক কোনো শিল্পী নন।
আরও পড়ুন: মৃদু শীতে শাড়িতে উত্তাপ ছড়ালেন ভাবনা
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এই সময়ে হয়তো দু’একটি গান করে ইউটিউবে ছেড়ে দিতে পারতাম। কিন্তু আমি তো ইউটিউবার আর্টিস্ট নই। আমি বাংলাদেশের জাতীয় আর্টিস্ট। আমার কাছে দেশের সন্মান জড়িয়ে আছে। আমি ইউটিউবে গিয়ে গাইবো কেন? ১৬ বছর যদি আমাকে আটকে না রাখা হতো তাহলে অনেক ভালো ভালো গান আমি উপহার দিতে পারতাম।’
মিউজিক ডিরেক্টর ও গীতিকারদের বিষয়ে বেবী নাজনীন বলেন, ‘অনেক ভালো ভালো মিউজিক ডিরেক্টর ও গীতিকার এখন আর বেঁচে নেই। এই প্রজন্মের যারা গান লিখছে তাদের তো আমরা ইন্সপায়ার করতে পারছি না। তাদের বিষয়ে যদি আমরা যত্নশীল হই তবে দেশের সংগীত অনেক এগিয়ে যাবে।’
নতুন বাংলাদেশ নিয়ে সবারই স্বপ্ন অনেক বড়। এখন আমরা প্রাণ-খুলে কথা বলতে পারছি, এটাই আমাদের কাছে বড় আনন্দ। নতুন বাংলাদেশে আরও আধুনিক গান হবে, আরও ভালো গান হবে, আরও মৌলিক গান হবে। আমাদের শিল্পী খুঁজে বের করে তাদের দিয়ে আরও ভালো গান করাতে হবে বলেও জানান বেবী নাজনীন।
এসি/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন