রবিবার, ৯ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ১৫ জেলায় নতুন ডিসি *** জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন *** খালেদ মুহিউদ্দীনের ইংরেজি জ্ঞান নিয়ে উদ্বেগ কেন? *** প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান জানালে আমরা যাব, অন্য দলকে দিয়ে আহ্বান কেন: সালাহউদ্দিন *** দেশের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান কী *** কারও দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান *** রাজশাহীর প্রশংসা উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের, এড়িয়ে গেলেন নির্বাচন প্রসঙ্গ *** আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে: শফিকুল আলম *** দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর *** আওয়ামী লীগের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাচ্ছে আমেরিকা, ইউরোপ!

বিশ্ব গরম চা দিবস আজ!

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, ১২ই জানুয়ারী ২০২৫

#

ছবি : সংগৃহীত

অনেকেরই সকালে  ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা না হলে যেন দিনই ভালো যায় না। তবে চা প্রেমীরা ছাড়াও অন্যরাও আজ দিন শুরু করতে পারেন এক কাপ গরম চা দিয়ে। আজ ১২ই জানুয়ারি গরম চা দিবস। মজার ব্যাপার হলেও এটিই সত্যি! গরম চায়ের জন্যও রয়েছে দিবস। এমনই প্রচলন শুরু হয়েছে ২০১৬ সাল থেকে।

বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ১২ই জানুয়ারি বিশ্বের অনেক দেশে গরম চা দিবস বা ‘হট টি ডে’। ১৯৫০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়। আর ২০১৬ সালে এই কাউন্সিল হট টি ডে প্রচলন করে।

অবশ্য আন্তর্জাতিক চা দিবস হিসেবে পালিত হয় ২১শে মে তারিখটা। যদিও প্রথমে ১৫ই ডিসেম্বর ছিল বিশ্ব চা দিবস।

বাংলাদেশিদের চায়ের অভ্যাস শুরু হয় ব্রিটিশ শাসনামল থেকে। তখন স্থানীয় বাজারে চায়ের খুব বেশি চাহিদা ছিল না। বাগানের উৎপাদিত বেশিরভাগ চা ব্রিটেন রপ্তানি হতো। এছাড়া তখন এ অঞ্চলে থাকা ব্রিটিশ বা ইউরোপীয় লোকজন চা খেতেন, স্থানীয় অভিজাত গোষ্ঠীও চা খেতে শুরু করেছিলেন। তখনো বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে চায়ের জনপ্রিয়তা তৈরি হয়নি।

আরো পড়ুন : শীতে পার্টি জমুক হাঁসের নাগা রোস্ট দিয়ে!

ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯৪৭ সালে এ অঞ্চলে প্রায় ১৮ মিলিয়ন কেজির মতো চা উৎপাদিত হতো। তার প্রায় ১৫ মিলিয়নই রপ্তানি হতো, তিন মিলিয়ন কেজির মতো এখানে খাওয়া হতো। ১৯৭১ সালে সেই উৎপাদন এসে দাঁড়ায় ৩১ মিলিয়ন কেজিতে। সুতরাং বোঝা যায়, মানুষের মধ্যে চা খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ছিল, চায়ের উৎপাদনও বাড়ছিল। ১৮০০ শতাব্দীর প্রথমভাগে ভারতবর্ষের আসাম ও আশপাশের এলাকায় চা চাষ শুরু হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী নদীর তীরে চা আবাদের জন্য ১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দে জমি বরাদ্দ হয়। চট্টগ্রাম শহরে ১৮৪০ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমান চট্টগ্রাম ক্লাবসংলগ্ন এলাকায় একটি চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যা কুণ্ডুদের বাগান নামে পরিচিত। ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দে সিলেট শহরের এয়ারপোর্ট রোডের কাছে মালনীছড়া চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি চা-বাগান আছে মৌলভীবাজার জেলায়। এখানকার শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও রাজনগরে অনেক চা-বাগান দেখতে পাবেন। সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলায়ও চমৎকার ও ঐতিহ্যবাহী কিছু চা-বাগান আছে। দেশের প্রথম চা-বাগান মালনীছড়ার অবস্থান সিলেট শহরেই।

ব্ল্যাক টি, গ্রিন টি, হোয়াইট টি, ওলং টি—সব ধরনের চা আসে ক্যামেলিয়া সিনেসিস নামের উদ্ভিদ থেকে। 

এস/ আই.কে.জে/

গরম চা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250