বৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা কানাডার *** এই সরকারের এক্সিট পলিসি চিন্তা করার সময় এসেছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য *** জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সব পদক্ষেপ নেবে নয়াদিল্লি *** ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা চান দেশটির ৩১ বিশিষ্ট নাগরিক *** এক সাপুড়ের প্রাণ নেওয়া সাপকে চিবিয়ে খেলেন আরেক সাপুড়ে *** তিন বাহিনীর প্রধান নিয়োগ রাষ্ট্রপতির হাতে রাখার প্রস্তাব *** ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল দিচ্ছেন উমামা, যোগদানের আহ্বান ফেসবুকে *** ১৫ই আগস্টের মধ্যে চাকসুর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা *** ‘প্রিয় বন্ধু’ ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের *** আইন ও বিচার বিভাগে পদায়ন বিধিমালা জারি

প্রাচীন মিসরীয় এক ব্যক্তির জিনে মিলল চমকপ্রদ পূর্বপুরুষের পরিচয়

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, ৪ঠা জুলাই ২০২৫

#

জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে মিসরীয় ওই ব্যক্তির ত্রিমাত্রিক মুখাবয়ব তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। ছবি: সিএনএন

প্রথমবারের মতো প্রাচীন মিসরের এক ব্যক্তির সম্পূর্ণ জিনোম (ডিএনএর পূর্ণ তথ্য) বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ঘটনাটি বিশ্বজুড়ে গবেষকদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ব্যতিক্রমী এই আবিষ্কার প্রাচীন মিসরীয়দের আদিপুরুষ সম্পর্কে জানার নতুন জানালা খুলে দিয়েছে। খবর সিএনএনের।

সিএনএন জানিয়েছে, প্রায় ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৮০০ বছর আগে প্রাচীন মিসরের প্রাচীন রাজবংশ ও পিরামিড নির্মাণের সময়কালে কায়রো শহরের দক্ষিণে অবস্থিত নুয়াইরাত গ্রামে এক ব্যক্তিকে একটি মাটির পাত্রে দাফন করা হয়েছিল। সেখান থেকে পাওয়া ওই কঙ্কাল প্রাচীন মিসর থেকে পাওয়া এযাবৎকালের সবচেয়ে পুরোনো ডিএনএ নমুনা।

সম্প্রতি ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির জিনের ৮০ শতাংশ এসেছে উত্তর আফ্রিকার আদি জনগোষ্ঠী থেকে এবং ২০ শতাংশ এসেছে পশ্চিম এশিয়া ও মেসোপটেমিয়ার (বর্তমান ইরাক, ইরান ও জর্ডান অঞ্চল) জনগোষ্ঠী থেকে। এর ফলে বোঝা যাচ্ছে, বহু আগে থেকে মিসর ও উর্বর উপত্যকা (ফার্টাইল ক্রিসেন্ট) অঞ্চলের জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সাংস্কৃতিক ও জিনগত সংযোগ ছিল।

গবেষণার প্রধান লেখক ড. অ্যাডেলিন মোরেজ জ্যাকবস বলেন, ‘একটি দাঁতের গোড়া থেকে সংগৃহীত ডিএনএ, কঙ্কাল ও দাঁতের গঠন বিশ্লেষণ করে আমরা ওই ব্যক্তির জীবন ও পূর্বপুরুষদের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র পেয়েছি।’

এই আবিষ্কার আরও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, এটি ডিএনএ বিশ্লেষণের নতুন প্রযুক্তি ‘শটগান সিকোয়েন্সিং’-এর সাফল্য। মিসরের গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ডিএনএ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, তাই অতীতে বহুবার চেষ্টা করা হলেও পূর্ণ জিনোম বের করা সম্ভব হয়নি। এবার একটি দাঁতের সিমেন্টাম অংশ থেকে সংগৃহীত নমুনা দুটি বেশ ভালোভাবেই সংরক্ষিত ছিল, যা বিশ্লেষণে ব্যবহার করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তি প্রায় ৫ ফুট লম্বা ছিলেন এবং মৃত্যুকালে বয়স ছিল ৪৪ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে। তার দাঁত, কশেরুকা ও হাড়ে পাওয়া গেছে দীর্ঘ সময় ধরে কঠোর পরিশ্রমের চিহ্ন। তিনি হয়তো একজন মৃৎশিল্পী ছিলেন। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, তার দাফন ছিল অনেকটাই আড়ম্বরপূর্ণ, যা সাধারণত উচ্চ শ্রেণির মানুষদের করা হতো। তাই ধারণা করা হচ্ছে, হয়তো তিনি তার পেশায় এতটাই দক্ষ ছিলেন যে সামাজিক মর্যাদায় উন্নীত হয়েছিলেন।

জে.এস/

গবেষণা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন