ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের বিবাহবহির্ভূত দুটি সম্পর্ক ছিল বলে নতুন একটি বইয়ে দাবি করা হয়েছে। ওই বইয়ে আরও দাবি করা হয়েছে, নিজের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর সঙ্গে থ্যাচারের পেশাগত সম্পর্কের বাইরে ‘অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব’ ছিল। প্রয়াত এই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে লেখা ‘দ্য ইনসিডেন্টাল ফেমিনিস্ট’ নামের বইয়ে এসব দাবি করা হয়েছে। তথ্যসূত্র: ইনডিপেনডেন্ট।
বইটি লিখেছেন টিনা গাডোয়ান। এতে তিনি দাবি করেন, ‘আয়রন লেডি’ হিসেবে বিখ্যাত থ্যাচার এমপি থাকার সময় একটি সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। পরে আরেকজন রাজনীতিবিদের সঙ্গেও তিনি একই ধরনের সম্পর্কে ছিলেন।
একাধিক সূত্রের বরাতে গাডোয়ান দাবি করেছেন, থ্যাচার ‘তার সংসদীয় কর্মজীবনের একেবারে শুরুর দিকে কারও সঙ্গে সম্পর্কে’ ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ‘খুব সম্ভবত’ স্পেলথর্নের এমপি স্যার হামফ্রি অ্যাটকিনসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।
মার্গারেট থ্যাচার ১৯৭৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এবং ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দেশটির কনজারভেটিভ পার্টির নেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালের ৮ই এপ্রিল তিনি মারা যান।
দ্য টাইমস জানিয়েছে, গডোয়ান তার নতুন বই নিয়ে সম্প্রতি চেলটেনহ্যাম লিটারেচার ফেস্টিভ্যালে আলোচনা করেছেন। এতে তিনি বলেন, তাকে কেউ কেউ বলেছেন, ‘অ্যাটকিনস নিয়ে রসিকতা চালু আছে, তিনি ততটা দক্ষ না হয়েও বারবার পদোন্নতি পেয়েছিলেন। এখন প্রশ্ন হলো, কেন এমনটি হয়েছিল?’
এডওয়ার্ড হিথের নেতৃত্বে কনজারভেটিভরা বিরোধী দলে থাকার সময় স্যার হামফ্রি অ্যাটকিনস চিফ হুইপ ছিলেন। পরে ১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি উত্তর আয়ারল্যান্ড বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মার্গারেট স্পেনসর-নেইর্নকে বিয়ে করেছিলেন। এই দম্পতির চার সন্তান। অ্যাটকিনস ১৯৯৬ সালে মারা যান।
গাডোয়ানের একজন সূত্র হলেন কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক মন্ত্রী জোনাথান আইটকেন। অ্যাটকিনসের সঙ্গে থ্যাচারের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আইটকেন বলেছেন, ‘সেই সময়ে ওয়াকিবহাল মহলে এমন কিছু গুঞ্জন ছিল। তার সুদর্শন চেহারা থ্যাচারের কাছে হয়তো আবেদন তৈরি করেছিল। কিন্তু তার রাজনৈতিক জ্ঞান ছিল হতাশাজনক।’
কয়েকটি সূত্র গাডোয়ানকে বলেছেন, নিজের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা টিম বেলের সঙ্গে থ্যাচারের পেশাগত সম্পর্কের বাইরে ‘অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব’ ছিল। নৈশভোজের সময় নিজের হাঁটুতে লর্ড বেলের হাতের স্পর্শ পাওয়া ছিল থ্যাচারের ‘অন্যতম প্রিয় বিষয়’।
থ্যাচারের জীবনীর লেখক চার্লস মুর দ্য টাইমসকে বলেছেন, তিনি আইটকেনের দাবিকে এতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তার ভাষ্যমতে, অ্যাটকিনসের সঙ্গে থ্যাচারের সম্পর্কের গুঞ্জন ‘সমর্থন করার মতো কোনো প্রমাণ’ তিনি পাননি।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন