রবিবার, ১লা জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সোমবার থেকে ঢাকায় পাওয়া যাবে নতুন টাকার নোট *** ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় শুধু একটি দল—প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিল প্রেস উইং *** স্বাধীনতার পর প্রথম বাজেটের আকার কমল *** মে মাসে এলো ৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স *** নির্বাচন ৩০শে জুনের পরে যাবে না: প্রেস সচিব *** সিরিয়ার সরকারি কর্মচারীদের বেতন দেবে সৌদি আরব-কাতার *** নাহিদ ইসলামের সাবেক পিএ আতিকের স্ত্রী জুঁইকে দুদকে তলব *** ২৫ হাজার কোটি টাকায় চট্টগ্রামে মনোরেল করতে চায় সিটি করপোরেশন *** বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠক, দুই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর *** ইশরাক ইস্যুতে সিদ্ধান্ত আদালতের নির্দেশনার কপি পাওয়ার পর: ইসি সচিব

ভয়াবহ হচ্ছে ডেঙ্গু, প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ

সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ১২:৪২ অপরাহ্ন, ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

ডেঙ্গু একটি প্রাণঘাতী রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সময়ে রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর তালিকা। এ বছর রোগীর মৃত্যু ইতোমধ্যে শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। চলতি মাসেই মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। এ রকম পরিস্থিতি থাকলে মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক হারে বাড়বে। এডিস মশার কারণে এই রোগের সৃষ্টি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক সময়ে মশা নিধন করতে না পারলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে ওঠে।

এক সময় প্রচলিত ধারণা ছিল, বর্ষাকাল মানেই ডেঙ্গুর মৌসুম। সময়ের পরিক্রমায় সেই ধারণা বদলে গেছে। এখন শুধু বর্ষাকাল নয়, শীত-গ্রীষ্মেও এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এডিস মশার আচরণেও পরিবর্তন এসেছে। এক সময় এই মশা শুধু পরিষ্কার পানিতেই জম্ম নিত, কিন্তু এখন দূষিত পানিতেও বংশবিস্তার করে। অর্থ্যাৎ জমে থাকা যেকোনো পানিতেই এডিশ মশা বংশবিস্তার করতে পারে।

ডেঙ্গুর প্রজননের ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরকে পিক সিজন বলা হয়। এই সময়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হয়। মাঝে-মাঝে বৃষ্টি ও আর্দ্রতা ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা প্রজননের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে। বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতার কারণে এবারও সেপ্টেম্বর মাস ডেঙ্গুর জন্য ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। ইতোমধ্যে সে লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। সারা দেশে প্রতিদিন শত শত মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। যদিও আক্রান্তদের মধ্যে খুব কম অংশই হাসপাতালে ভর্তি হয়। দেশে কয়েক মাস অচলাবস্থার কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডেঙ্গু সংক্রান্ত মৌসুম জরিপ করা সম্ভব হয়নি। প্রতিবছর তিন ধাপে জরিপ করা হয়। এ বছর এক ধাপের পর আর জরিপ সম্ভব হয়নি। এ কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি অনেকটা অজানাই রয়ে গেছে।

এ বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ একটু কঠিন হবে। কারণ সিটি কর্পোরেশন ও জেলা পর্যায়ের স্থানীয় সরকার পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা দায়িত্বে নেই। এ জন্য পরিষ্কার-পরিছন্নতা ও মশক নিধনে অবহেলা লক্ষ করা যাচ্ছে। বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু মশক নিধনে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। যার কারণে সাধারণ জনগণকে কুফল ভুগতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ডেঙ্গু প্রতিরোধে দ্রুত জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। সরকার ও জনগণের সমন্বিত উদ্যোগেই একমাত্র ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব হবে।

আই.কে.জে/

ভয়াবহ হচ্ছে ডেঙ্গু

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন