শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** আমেরিকার বাজারে শুল্ক কমেছে, বাংলাদেশে স্বস্তি *** ফল দেখলেই বুঝবেন, কাজটা ঠিক হয়েছে কী না: খলিলুর রহমান *** ইনার হুইল ক্লাবের উদ্যোগে দরিদ্র ছাত্রীদের জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে টিকা দান *** চোরা শিকার রুখতে গন্ডারের শিংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ! *** দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না *** বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করল আমেরিকা *** জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে বাংলাদেশ *** মেসির কারণেই সেদিন চুপ ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলার *** সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ায় বকশীগঞ্জে বিক্ষোভ *** গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু ৩রা আগস্ট

বাণিজ্যিকভাবে শেরপুরে কফি চাষ শুরু

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:১৪ অপরাহ্ন, ১২ই আগস্ট ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় কফি চাষ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন কৃষকরা। ফলন ও বাণিজ্যিক পথ সুগম হলে সুসময়ের দুয়ার খুলে যাবভাবে দুই রকমের কফির চাষ রয়েছে। এ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষের জন্য “এরাবিকা” ও “রোবাস্টা” জাতের কফি চাষ শুরু হয়েছে। রোবাস্টা জাতের কফি বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকায়  চাষের  উপযোগী।

কফির চারাগুলো দেখতে কিছুটা দেবদারু চারার মতো। মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে প্রতিটি পরিপক্ব গাছে ফুল ধরা শুরু হয়। মে থেকে জুন মাসের মধ্যে ফুল থেকে গুটি গুটি ফলে পরিণত হয়। আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ফল পরিপক্বতা লাভ করে। পরে এগুলো রোদে শুকিয়ে নিতে হয়। বাজারজাত ও কফি পান করার জন্য উপযোগী করতে মেশিনের মাধ্যমে কফিবীজ গুঁড়া করে নিতে হয়। আবার কফির বীজ থেকে চারা উৎপাদন করা যায়।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গাছ প্রতি ৫-৭ কেজি কফি পাওয়া যাবে। প্রতি কেজি কফির দাম ৮০-১০০ টাকা। প্রতি একরে ২৫০- ৩০০টি গাছ লাগানো যায়। বছরে ২০০ কফি গাছ থেকে এক হাজার ৬০০ কেজি পর্যন্ত কফি ফলন পাওয়া যায়। যার ন্যূনতম বাজারমূল্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

কৃষিবিদ সাজ্জাদ হোসেন তুলিপ বান্দরবানে চাকরির সুবাদে রুমা উপজেলার ডার্জিলিং পাড়ায় কফি চাষ প্রথম তার নজরে আসে। সেখান থেকেই কফি চাষ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তিনি। ২০২১ সালে লাল লিয়াং বং এর বাগান হতে ৫ কেজি কফি কিনে চারা উৎপাদন করেন। সেই চারা পরীক্ষামূলক হালুয়াঘাট, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় এবং বান্দরবানের কিছু চাষিদের মধ্যে বিতরণ করেন। সেই চারাগুলো এখন ফল দেওয়া শুরু করেছে। ওই সব কফি সংগ্রহ করে অল্প কিছু ফল নিজস্ব মেশিনে রোস্টিং করে বাজারজাত করা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন: পাহাড়ি লটকনে লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন

রামচন্দ্রকুড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন বলেন, দুই বছর আগে আমি ৫৪টা চারা লাগিয়েছিলাম। এ বছর ৫০টা গাছে ফল ধরেছে। আমি আরো চারা লাগানোর জন্য প্রস্ততি নিচ্ছি।

শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ বিভাগের উপ-পরিচারক ড. সুকল্প দাস বলেন, জেলায় পাহাড়ি এলাকায় আমরা পরীক্ষমূলকভাবে কফি চাষ শুরু করেছি। এজন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এসি/ আই.কে.জে

কফি চাষ বাণিজ্যিক

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন