ছবি: সংগৃহীত
‘বিচারের বাণী কাঁদছে নিভৃতে, আইন নিজের হাতে তুলে নেয় ডন। শিশু ধর্ষণ ও পাচার, তাদের অঙ্গ কর্তন করে ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করা এবং নারী পাচারসহ মানবপাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে আমরা তৈরি করেছি দ্য লাস্ট ডন! গায়ক হিসেবে আমি সর্বোচ্চ ন্যায়বিচার চাইতে পারি কথা, সুরে, গানে।’—নিজের নতুন মিউজিক্যাল ফিল্ম প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর।
আগামী ১৭ই জুন ঈদের দিন বিকেল ৪টায় আসিফ আকবরের ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত হবে মিউজিক্যাল ফিল্ম ‘দ্য লাস্ট ডন’। গানটি লিখেছেন সুহূদ সুফিয়ান। সংগীত পরিচালনায় জাভেদ আহমেদ কিসলু।
গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি এতে ডনের ভূমিকায় অভিনয়ও করেছেন তিনি। তবে ডন হলেও অন্যায়ের প্রতিবাদকারী একটি চরিত্র রূপায়ন করেছেন আসিফ। যেটি নির্মাণ করেছেন আরেক জনপ্রিয় নির্মাতা সৈকত নাসির। জানা গেছে, আসিফের গল্প ভাবনায় এরই মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে মিউজিক্যাল ফিল্মটির শুটিং সম্পন্ন হয়েছে।
সম্প্রতি ফিল্মটির একাধিক ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, স্যুট-প্যান্টের সঙ্গে টাই। ব্লেজারের পকেটে বড় আকারের একটি গোলাপ ফুল। চোখে সানগ্লাস। চুলগুলো জেল দিয়ে পরিপাটি করে রাখা। হাতে ভারী অস্ত্র নিয়ে পুরো অ্যাকশন মুডে রয়েছেন আসিফ।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আসিফ আকবরকে মডেল হিসেবে তুলে ধরে তারই গাওয়া ‘আগুন’ গানের ভিডিও নির্মাণ করেন সৈকত নাসির। তার মতে, এটি ভিডিওর নতুন বাজার তৈরিতে সহায়ক হয়েছিল। যা নতুন মিউজিক্যাল ফিল্মে আরেকটি উদাহরণ স্থাপন করবে বলে তিনি আশাবাদী। অন্যদিকে এক সময় নিয়মিত কনসার্টে দেখা গেলে বেশ কয়েক বছর ধরে সেই জায়গায় অনিয়মিত আসিফ আকবর। বিভিন্ন জটিলতায় ইচ্ছে থাকলেও কনসার্টে অংশ নিতে পারছেন না বলে গণমাধ্যমে জানান এই সংগীতশিল্পী। পাশাপাশি নিজে সহকর্মীদের ভেতর একতার অভাব নিয়েও রয়েছে তার আক্ষেপ।
আরো পড়ুন: ডিপজলের কাছ থেকে ‘বার্থ ডে গিফট’ পেলেন নিপুণ!
তবে সম্প্রতি বলিউডের গানে কণ্ঠ দিয়ে ভক্তদের চমকে দিয়েছিন তিনি। বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেন আসিফ। এছাড়া ক’দিন আগেই ভারতের নন্দিত গায়িকা অনুরাধা পাড়োয়ালের সঙ্গে একটি দ্বৈত গান শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন। ‘চিরদিনের জীবনসঙ্গিনী’ শিরোনামের সেই গানটি লিখেছেন কবির বকুল এবং সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা রাজা কাশেফ।
আসিফ বলেন, ‘গানের শিল্পীদের মধ্যে ঐক্যের উপস্থিতি কম। তাদের মধ্যে সাহসী লোক কম, চাটুকার বেশি। এই ৩ বছরে আমি ৪টা শো করতে পেরেছি। আসলে আমাকে শো করতে দেওয়া হয় না। আমাকে অনুমতি দেওয়া হয় না। তবে আমি গানের মধ্যে আছি, নিয়মিত রেকর্ডিং হচ্ছে। বাংলাদেশে একমাত্র আর্টিস্ট আমি যে, রেকর্ডিং করেই জীবিকা নির্বাহ করি। আমি মনে করি, সাধারণ মানুষ আমাকে ভালোবাসে। লাইভ কনসার্ট করতে না পারার কারণে আমি ঠিকভাবে তাদের সঙ্গে কানেক্টেড হতে পারছি না। তবে সবশেষে একটাই কথা দেশের বাইরে সেটেল হওয়ার চিন্তা আমার নেই। যতদিন বাঁচি বাংলাদেশেই থাকব।’
এসি/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন