ছবি (সংগৃহীত)
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পানি নামতে শুরু করায় জনমনে ফিরেছে স্বস্তি। পাঁচ দিনের পানিবন্দি অবস্থা থেকে এবার হয়ত মিলবে মুক্তি এমনটাই আশা করছেন বন্যাকবলিত মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বৃহস্পতিবার (২০শে জুন) সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল, শুক্রবার (২১শে জুন) যা বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নদীতে পানির প্রবাহ কম থাকায় পানি নামতে শুরু করেছে পৌরশহরের বড়পাড়া, তেঘরিয়া, সাহেববাড়ী এলাকায়। তবে হাছননগর, নতুনপাড়া, বাধনপাড়া, শান্তিবাগ, বুড়িস্থল, ইসলামপুর, ময়নার পয়েন্টের পানি অপরিবর্তিত রয়েছে।
বড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মমিন ঢাকা গণমাধ্যমকে বলেন, গত রাতেও বাসার সামনে পানি ছিল, আজ পানি নেমে গেছে। পানি নেমে যাওয়ায় আতঙ্ক কমেছে।
তেঘরিয়ার বাসিন্দা হুজাইফা হুদা গণমাধ্যমকে বলেন, যে হারে পানি কমছে এতে ভয় কমেছে। এখন যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে আমরা মুক্তি পাব।
এদিকে সুনামগঞ্জ পৌরশহরের পানি কিছুটা কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে ছাতক, দোয়ারাবাজার, মধ্যনগর, শাল্লা, ধর্মপাশা, শান্তিগঞ্জ এলাকার বন্যা পরিস্থিতি। দিন দিন আশ্রয়কেন্দ্রে বাড়ছে ভিড়। আশ্রয়কেন্দ্রে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট ও সুপেয় পানির অভাব।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রশাসনসহ যারা ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন তা খুব কম। যে সমস্ত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো সেই সকল এলাকায় সবাই সহায়তা করছে বলে অভিযোগ অনেকের। দুর্গম এলাকায় কেউ যাচ্ছে না। তারা আরও জানিয়েছেন পানি কমলেও ভোগান্তি কমতে আরও সময় লাগবে।
জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণেই সমস্যা বেশি হয়। ঢল নামলেই পানি বাড়ে। বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টি হয়নি, উজানের ঢলও নেমেছে কম। তাই সুরমা নদীর পানি কোনো কোনো স্থানে কমেছে। তবে শনিবার বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তাই পানি আবার বাড়তে পারে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছেন, পুরো জেলা বন্যাকবলিত। সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের পর্যবেক্ষণে আছে। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী আছে। আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনা ও রান্না করা খাবার বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।