ছবি: সংগৃহীত
জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কিছুদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা। গত দুই মাসে এমন অন্তত ৩০টি বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী সংসদ নির্বাচন, মানবাধিকার ইস্যু এবং নির্বাচনের পরে জামায়াতের ভূমিকা কী হবে, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
অভ্যুত্থানের পর অন্যতম বড় রাজনৈতিক শক্তি হয়ে ওঠা জামায়াতের নেতারা দাবি করছেন, এসব বৈঠকের মধ্য দিয়ে দলটি সম্পর্কে বিদেশিদের নেতিবাচক ধারণা ভেঙে যাচ্ছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, নির্বাচনের পর সরকার বা বিরোধী দল —যে অবস্থানেই জামায়াত থাকুক না কেন, দেশকে তারা কোন দিকে নিতে চায়, তা বোঝার চেষ্টা করছেন বিদেশিরা।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘বিদেশি কূটনীতিকেরা মনে করেন, ভবিষ্যতে জামায়াতকে রাষ্ট্র পরিচালনারও দায়িত্ব দিতে পারে এ দেশের জনগণ। কাজেই জামায়াত কী চায়, কীভাবে চায় এবং ভবিষ্যতে কী হবে —এগুলো তারা বোঝার চেষ্টা করছেন।’
সর্বশেষ বুধবার (৮ই অক্টোবর) জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের বসুন্ধরার কার্যালয়ে ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। একই দিনে জামায়াতের আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সাইদানি।
জামায়াত জানিয়েছে, বৈঠকে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আগামী সংসদ নির্বাচন, গণতন্ত্রের বিকাশ ও টেকসইকরণ, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।
জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, গত দুই মাসে অন্তত ৩০টি বিদেশি মিশন-সংস্থার কূটনীতিক ও কর্মকর্তারা জামায়াতের আমিরসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এসব বৈঠকের ছবি ও আলোচনার বিষয়বস্তু সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াও দলটির ফেসবুক পেজে তুলে ধরা হয়েছে।
জামায়াতের প্রতি বিদেশিদের আগ্রহ বাড়ার কারণ কী জানতে চাইলে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘বিদেশি কূটনীতিকদের আগ্রহের প্রধান কারণ, এই দলের প্রতি জনগণের আগ্রহ। তারা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, জামায়াতের জনসমর্থন অনেক। আলোচনায় তাদের যেমন স্বার্থ আছে, আমাদেরও আছে। আমাদের স্বার্থ হলো, আমরা চাই এই দেশগুলোর সঙ্গে যেন একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে এবং তারা আমাদের দেশে বিনিয়োগ করেন।’
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন