পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অসাম্প্রদায়িকতা আমাদের জাতির মূল চালিকাশক্তি আর পয়লা বৈশাখ উৎসব অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক।
শুক্রবার (১০ই মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 'বৈশাখী উৎসব ১৪৩১' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে তৎকালীন পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা ভেঙ্গে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হওয়া পয়লা বৈশাখের উৎসব আজ আমাদের অসাম্প্রদায়িকতার মূর্ত প্রতীক।'
ড. হাছান বলেন, 'স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি, আর দ্বিতীয় পরিচয় আমরা কে কোন ধর্মের। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্র- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সে কারণেই আজ বাংলাদেশে ঈদ, পূজা, পূর্ণিমা সব উৎসবে সকল ধর্মের মানুষ একাত্ম হয়ে যায়।'
এর আগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশে আমেরিকার নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন এই বিষয়ের প্রশ্নে মন্ত্রী হাছান এই মনোনয়নকে স্বাগত জানান। নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
আরো পড়ুন: মতিঝিল থেকে টঙ্গী যাবে মেট্রোরেল
এসময় সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্নোত্তর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, আমাদের দেশে মানবাধিকার অনেক দেশের চেয়ে ভালো। বিশ্বের কোনো দেশেই মানবাধিকার আদর্শ অবস্থানে নেই। আমেরিকা যেভাবে প্যালেস্টাইনিদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুলিশ দমন করছে, সেটি আমরা টিভির পর্দায় দেখছি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্যালেস্টাইনিদের পক্ষে নাগরিক আন্দোলনকে কিভাবে পুলিশ দমন করছে, সেটিও আমরা দেখছি।
সকল দেশেরই উচিত মানবাধিকার উন্নয়নে একযোগে কাজ করা। আমরাও আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে মানবাধিকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ড. এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শাহরিয়ার আলম, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশনের (ফোসা) সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ফোসা'র শিল্পীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন।
এইচআ/