ছবি: সংগৃহীত
ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে দেশের বর্তমান আইন যথেষ্ট কার্যকর নয়; এজন্য আরও কঠোর আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটি দাবি জানিয়ে বলেছে, ধর্মীয় সহাবস্থান ও সামাজিক শান্তি রক্ষা করতে হলে, বিশেষত কোরআন অবমাননা বন্ধ করতে হলে ধর্মীয় মূল্যবোধভিত্তিক শিক্ষা জোরদার করার পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
আজ রোববার (৫ই অক্টোবর) রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর কোরআন অবমাননার ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে এসব মন্তব্য করেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহ তালা মানবজাতির হেদায়াতের জন্য নাজিল করেছেন। মুসলমানেরা এই পবিত্র গ্রন্থের অবমাননা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের পাশাপাশি মুসলিম-অধ্যুষিত বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। আমরা এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাই।’
আবহমানকাল ধরে মুসলিমসহ অন্য ধর্মাবলম্বীদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের কারণে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ হয়ে রয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, কখনো কখনো কিছু কুচক্রী মহল এ সম্প্রীতি নষ্ট করে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। সাম্প্রতিক ঘটনাটিও তেমন কোনো ন্যক্কারজনক ষড়যন্ত্রের অংশ কি না, তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখা জরুরি।
ছাত্রশিবির মনে করছে, ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে দেশের বর্তমান আইন যথেষ্ট কার্যকর নয়। এ জন্য আরও কঠোর আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্মীয় মূল্যবোধ চর্চা ও রক্ষার জন্য বাস্তবসম্মত নীতি প্রণয়ন এবং তার কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি।
খবরটি শেয়ার করুন