নিউইয়র্কে একটি হোটেলে দিদারুলের পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ হয়। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ
আমেরিকার নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। স্থানীয় সময় সোমবার রাতে (২২শে সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের একটি হোটেলে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দিদারুলের পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা দিদারুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়ে পরিবারের সদস্যদের হাতে একটি ক্রেস্ট তুলে দেন। এ সময় দিদারুলের বাবা মোহাম্মদ আবদুর রব, মা মিনারা বেগম, দুই ছেলে আয়হান ইসলাম ও আজহান ইসলাম, ভাই কামরুল হাসান, ভাইয়ের ছেলে আদিয়ান হাসান, বোন নাদিমা বেগম এবং চাচা আহমেদ জামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা।
সাক্ষাৎকালে আবেগাপ্লুত হয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পত্রিকায় দিদারুলের মৃত্যুর ঘটনাটি পড়ে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি বুঝতে পারছিলাম না এমন একটি ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে। টিভিতে দেখেছি, নিউইয়র্কে তার শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছিল। বহু মানুষের শোক, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। নিউইয়র্কে আসার পরিকল্পনা করার সময়ই আমাদের মনে হয়েছে, অবশ্যই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে হবে।’ তিনি দিদারুলকে একজন প্রকৃত নায়ক হিসেবে উল্লেখ করে তার আত্মত্যাগের জন্য গভীর শ্রদ্ধা জানান।
দিদারুল ইসলামের পরিবার প্রধান উপদেষ্টাকে জানায়, তিনি নিউইয়র্ক পুলিশের একজন অত্যন্ত দায়িত্বশীল ও প্রশংসিত কর্মকর্তা ছিলেন। ২০২১ সালে পুলিশ বিভাগে যোগদানের পর তিনি ব্রঙ্কসের ৪৭ নম্বর প্রিসিঙ্কটে কর্মরত ছিলেন। গত ২৮শে জুলাই নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের পার্ক অ্যাভিনিউয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে দিদারুল নিহত হন। হামলাকারী তরুণ সেদিন একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় এবং পরে আত্মহত্যা করে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে দিদারুল গুলিবিদ্ধ হন। তার মরদেহে ৮-১০টি বুলেটের চিহ্ন ছিল বলে পরিবার জানিয়েছে। তিনি স্ত্রী ও দুটি সন্তান রেখে গেছেন।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন