রবিবার, ২০শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক: গোপালগঞ্জে প্রশাসন চাইলে রক্তপাত এড়ানো যেত *** পাকিস্তানকে উড়িয়ে ৯ বছর পর জিতল বাংলাদেশ *** এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা ও দলীয় প্রধান হওয়ার বিষয়ে তিন দলের ভিন্ন প্রস্তাব *** এত ‘নির্দোষ, নিরপরাধ, নিষ্পাপ’ সরকার আমি দেখিনি: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য *** গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ এনে কোটালীপাড়ায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন *** গোপালগঞ্জে জারি করা কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার *** পাকিস্তানকে দাঁড়াতেই দিলেন না তাসকিনরা *** শুটিংয়ে আহত হননি শাহরুখ *** ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে গ্যাসক্ষেত্র থেকেই বছরে আয় করবে ৪০০ কোটি ডলার *** ফোন করে জামায়াতের আমিরের খোঁজ নিলেন সেনাপ্রধান

চীনের ঋণ পরিশোধের ঢেউ ধেয়ে আসছে দরিদ্রতম ৭৫টি দেশে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৮:৫১ অপরাহ্ন, ২৭শে মে ২০২৫

#

চলতি বছরই বিশ্বের দরিদ্রতম ৭৫টি দেশ চীনের কাছে রেকর্ড পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করতে যাচ্ছে। অস্ট্রেলীয় থিংকট্যাংক লোই ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষণে এমন আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির হিসাব অনুযায়ী, শুধু ওই ৭৫টি দেশের কাছ থেকেই চীন এই বছর পাবে ২২ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার। খবর বিবিসির।

এই ঋণের বড় অংশই চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উদ্যোগে চালু হওয়া ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বিআরআই)-এর আওতায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। সড়ক, সেতু, হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত নানা খাতে এই ঋণ দেওয়া হয়েছিল।

২০১৬ সালে চীন সর্বোচ্চ ৫০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ঋণ দিয়েছিল—যা সেই বছর ঋণদাতা সব পশ্চিমা দেশগুলোর সম্মিলিত পরিমাণের চেয়েও বেশি ছিল। কিন্তু এখন চীনকে ঋণ পরিশোধের সময় হয়েছে এবং এই পরিশোধের বিষয়টি ঋণ নেওয়া দেশগুলোর জন্য একটি বড় চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

লোই ইনস্টিটিউট বলছে, এই দশকের বাকি সময় জুড়ে চীন আর ঋণদাতা হিসেবে নয়, বরং ঋণ আদায়কারী হিসেবে সামনে থাকবে।

চীনের ঋণ পরিশোধের এই চাপের ফলে দরিদ্র দেশগুলোর স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে ব্যয় সংকুচিত হচ্ছে। বিশেষ করে, বিশ্বজুড়ে যখন অর্থনৈতিক মন্দা চলমান, তখন চীনের পক্ষ থেকে নতুন ঋণ কমে আসছে, আর আগের ঋণ পরিশোধের চাপ তৈরি হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের এই ঋণ প্রদান নিয়ে শুরু থেকেই উদ্বেগ ছিল—বিশেষ করে ‘ঋণের ফাঁদ’ নিয়ে। তবে বেইজিং বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অনেক দেশ আবার বলছে, চীন এমন সময় ঋণ দিয়েছে, যখন অন্যরা পিছিয়ে গিয়েছিল। ফলে তারা চীনকে বেশি নির্ভরযোগ্য মনে করে।

তবে লোই ইনস্টিটিউটের রিপোর্টটি সতর্ক করেছে, এই ঋণ এখন রাজনৈতিক চাপ তৈরির মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন—হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, বুরকিনা ফাসো ও ডোমিনিকান রিপাবলিকের মতো দেশগুলো সম্প্রতি তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বেইজিংকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই এই দেশগুলোকে চীন বড় অঙ্কের ঋণ দিয়েছে।

এইচ.এস/

চীন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন