বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ে করবেন, আইন-কানুন জানা আছে কি?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৩০ অপরাহ্ন, ২০শে মে ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বিয়ে। বিয়ের মাধ্যমে দু’টি জীবন এক হয়ে গড়ে তোলে স্বপ্নের মতো সুন্দর এক সংসার।

বিয়ে আসলে একটি সামাজিক চুক্তি। আর সব ধর্মেই বিয়ের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে নারী-পুরুষের যৌথজীবন উপভোগের। বিয়ে করার জন্য বর ও কনে পক্ষের জন্য দেশে প্রচলিত আইনের যে বিষয়গুলো জানা গুরুত্বপূর্ণ: 

• বিয়ের সময় আইনে বর্ণিত উপযুক্ত বয়স পাত্রের ২১ এবং কনের ১৮ বছর হতে হবে।  

• এর কম বয়স হলে 'বাল্যবিয়ে' বলে ধরা হবে, যা বেআইনি।

• বিয়ের এক পক্ষ বিয়ের প্রস্তাব দেবে, অন্য পক্ষকে তা গ্রহণ করতে হবে।

• বিয়েতে দু’জন সাক্ষী থাকতে হবে।

আরো পড়ুন : স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য কী কারণে গুরুত্বপূর্ণ

• বিয়ের সময় পাত্র ও পাত্রীর মুখে উচ্চারিত 'কবুল' শব্দটি স্পষ্ট হতে হবে এবং উভয়ে কোনো রকম চাপ বা প্ররোচনা ছাড়াই তা স্বেচ্ছায় বলবে।

• একই বৈঠকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে হবে এবং গ্রহণ করতে হবে।

• মুসলিম আইনে কোনো পক্ষেরই বিয়ের জন্য কোনো ধর্মীয় কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠান বাধ্যতামূলক নয়।

• কাবিননামায় স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে পালনের শর্তগুলো থাকবে।

• স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই তালাকের অধিকার উল্লেখ রাখা।

• পাত্র-পাত্রীর সামাজিক ও শিক্ষাগত মর্যাদা ও আর্থিক সঙ্গতি বিবেচনা করে দেনমোহরের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

• বিয়ের প্রমাণ কাগজ-কলমে লিখে রাখাই হলো রেজিস্ট্রেশন। এটি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে লিখিত বিয়েসংক্রান্ত দলিল, যা কাজী অফিসে সংরক্ষিত থাকে।

• মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইন, ১৯৭৪-এর ধারা-৫(৪) অনুসারে, বিয়ে নিবন্ধন না করলে এর জন্য দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৩ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যায়।

• অনেক সময় দেখা যায় ছেলে-মেয়েরা একে অন্যকে ভালোবেসে কোর্ট ম্যারেজ করে। কিন্তু আইনে কোর্ট ম্যারেজ বলে কোনো শব্দ নেই। তাই এমন বিয়ের বৈধতাও নেই, এটি বিয়ের ঘোষণা মাত্র।  

এস/ আই.কে.জে/

বিয়ে আইন-কানুন

খবরটি শেয়ার করুন