ছবি : সংগৃহীত
প্রতিটি সংসারে সুখের মূল চাবিকাঠি তৈরি হয় নারী–পুরুষ দুজনের গুণে। দাম্পত্য সম্পর্কে দুজনের ভূমিকাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কার বেশি, কার কম—এই প্রশ্নের উত্তর দম্পতিভেদে ভিন্ন। তবে দুজনের মধ্যে অপরকে যে বেশি ভালোবাসেন, তার আবেগীয় নির্ভরতা বেশি। ফলে তিনি–ই অন্যজনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণের শিকার হন বেশি। জেনে নেওয়া যাক দাম্পত্য সম্পর্কের সবচেয়ে জরুরি নিয়ম বা একমাত্র ‘গোল্ডেন রুল’।
কখনো তৃতীয় ব্যক্তির সামনে ‘ঝগড়া’ নয়
তৃতীয় ব্যক্তির সামনে কখনো কথা–কাটাকাটি বা ঝগড়া করবেন না। অন্য কোনো ব্যক্তির সামনে নিজেদের ব্যক্তিগত সমস্যা তুলে ধরবেন না। সেটা নিজের মা–বাবা, গৃহসঙ্গী বা সন্তান—কারও সামনে নয়। এমনকি তৃতীয় কোনো ব্যক্তির সামনে সঙ্গীকে ছোট করে কথা বলা যাবে না। তৃতীয় ব্যক্তি যখনই আপনাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্যে জড়াবেন, তখনই সেটা আপনাদের নাগালের বাইরে চলে যাবে। সম্পর্ক ‘ইমেজ সংকট’–এ পড়বে।
সঙ্গীর কোনো সমস্যা তৃতীয় ব্যক্তি এসে সমাধান করতে পারবে না। বরং তাতে আপনি নিজের সঙ্গীকে ‘ছোট’ করলেন। সমস্যা আরও বড় করলেন। অথচ দুজন দুজনের সম্মান রক্ষা করা সুস্থ দাম্পত্য সম্পর্কের অন্যতম জরুরি বিষয়।
একটা ব্যক্তিগত সমস্যা যত মানুষকে জানাবেন, সমস্যাটা আদতে তত বড় হবে। তখন আর সেটি ব্যক্তিগত থাকবে না। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান দিলে তো কথাই নেই! এর মানে আপনি নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা করার, ‘জাজ’ করার অধিকার দিয়ে দিলেন সবাইকে।
আরো পড়ুন : ফল খেলে কি সত্যিই ঘুম ভালো হয়?
পেশাদার সাহায্য—এই একটা ক্ষেত্র ছাড়া কখনো তৃতীয় ব্যক্তির সামনে নিজেদের সমস্যা, দোষ, ত্রুটি, দুর্বলতা প্রকাশ করবেন না।
তাহলে কী করবেন?
নিজেদের সমস্যা নিজেরা একান্তে সমাধান করুন। খোলামেলা আলাপ-আলোচনা একটা সম্পর্কের গভীরতা নির্ধারণ করে দেয়। আপনি নিজের চিন্তা, মতামত, অভিজ্ঞতা, অনুভূতি বা বোঝাপড়া অপর পক্ষের সঙ্গে কতটা সততার সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করে আপনাদের সম্পর্কের গভীরতা।
রাতে ঘুমানোর আগে দরজা লাগিয়ে বিছানায় গিয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে কথা বলার পরামর্শ দেন মার্কিন লেখক ও সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ অ্যান নেলসন। তিনি মনে করেন এভাবে কথা বললে একটা ভালো সমাধানে পৌঁছানোর সম্ভাবনা এক লাফে অনেকটাই বেড়ে যায়। সমস্যা সমাধান অনেক সহজ হয়ে যায়। ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানের জন্য এর চেয়ে ভালো সময় নাকি আর হয় না। এরপর ঘুমও গভীর আর আরামদায়ক হয়। অ্যান আরও বলেন ‘রাগ নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না।’ যত সমস্যা আছে সমাধান করে, মনের ভার নামিয়ে, হালকা হয়ে তবেই ঘুমাতে যান।
সূত্র: লাভ অ্যান্ড রেসপেক্ট
এস/ আই.কে.জে