ছবি: সংগৃহীত
নতুন গঠিত নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জুলাই বিপ্লবের ওপর ভিত্তি করে গঠিত সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি। কারণ হিসেবে তারা বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার নতুন যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সেটা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আইনে করা।
রোববার (২৪শে নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মুখপাত্র সামান্তা শারমিন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণসহ তারা ২০২২ সালের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশন আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে নতুন আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে বলে লিখিত বক্তব্যে বলেছেন সংগঠনটির মূখপাত্র।
আরো পড়ুন: আমরা একতরফা ও গায়ের জোরের নির্বাচন দেখতে চাই না : সিইসি
সামান্তা শারমিন বলেন, আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করেছি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ওই আইনের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটি গঠন করে। অথচ জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ওই আইন বাতিল করাটাই যুক্তিযুক্ত হতো।
প্রধান উপদেষ্টা প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন দেখতে চাই। ড. ইউনূস দৃঢ়তার সঙ্গে সঠিক সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নেবেন। এটাই শিক্ষার্থী, তরুণ সমাজ ও অভ্যুত্থানের শরিকরা প্রত্যাশা করেন। আমাদের প্রত্যাশা, তিনি শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজের বার্তা বুঝতে পারেন এবং তাদের আহ্বানে সাড়া দেবেন।
২১শে নভেম্বর রাষ্ট্রপতির নির্দেশে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হয়। আজ রোববার নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনার শপথ নিয়েছেন। দুপুর দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পড়ান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
এসি/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন