ছবি: সংগৃহীত
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসনের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছিল না। তারা আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের আক্রমণের প্রস্তুতিও বুঝতে পারেনি।
রোববার (২০শে জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় এ আলোচনা এসেছে। সভায় গত বুধবার (১৬ই জুলাই) গোপালগঞ্জে সহিংসতা সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যর্থ হলো কেন, সে বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভাসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের কথা বলে জানা গেছে, আলোচনায় উঠে আসে, এনসিপির সমাবেশকে ঘিরে সহিংসতা ঘটাতে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও বাগেরহাট ও খুলনা থেকে আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের লোকজন এসেছিল। হামলাকারীদের ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সেটা আঁচ করতে পারেনি। পরিস্থিতি যে এমন মারাত্মক পর্যায়ে চলে যাবে, সেটা পুলিশ অনুমান করতে পারেনি। এটি ছিল তাদের বড় ধরনের ব্যর্থতা।
সভা-সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে একটি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে জেলা পুলিশকে গোয়েন্দা বার্তা বা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল বলে সভায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির প্রতিনিধি জানান। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুলিশ সদর দপ্তর এমন গোয়েন্দা প্রতিবেদন পায়নি। তখন ওই সংস্থাটির প্রতিনিধি জানান, গোয়েন্দা তথ্য গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারকে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি ওই গোয়েন্দা সংস্থার কোনো পূর্বাভাস বা প্রতিবেদন পাননি।
জে.এস/
গোপালগঞ্জ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গোপালগঞ্জ সহিংসতা গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভা
খবরটি শেয়ার করুন