কনকচাঁপা ও এন্ড্রু কিশোর। ছবি: সংগৃহীত
১৫ হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন এন্ড্রু কিশোর। সেগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় আর কালজয়ী গানের তালিকাও এতো লম্বা যে, অনেক শিল্পীর গোটা ক্যারিয়ারের চেয়ে তা ভারি। তাই যথার্থভাবে তাকেই বলা হয় প্লেব্যাক সম্রাট। আজ রোববার (৬ই জুলাই) কিংবদন্তি এ কণ্ঠশিল্পীর প্রস্থানের পাঁচ বছর পূর্ণ হলো। বছর ঘুরে এমন দিন এলেই তার জন্য মন কেঁদে ওঠে শ্রোতা ও সহশিল্পীদের।
এন্ড্রু কিশোরের বর্ণিল ক্যারিয়ারের অন্যতম সহশিল্পী কনকচাঁপা। তারা জুটি বেঁধে বহু শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। প্লেব্যাক সম্রাটের মৃত্যুদিনে ফেসবুকে একটি ছবি প্রকাশ করে এ গায়িকা জানালেন শোক।
সোফায় দুইজন বসে থাকা একটি ছবি পোস্ট করে কনকচাঁপা লিখেছেন, ‘ভাবতেই অবাক লাগে কী নির্ভার, কী প্রশ্রয়ে এমন চুলার পাড়ের বিলাইয়ের মতো করে বড় ভাইয়ের সোফার হাতলে বসে ছিলাম আনন্দে। এমনই বড় ভাই ছোট বোন সম্পর্ক ছিল আমাদের। তার গানের সৌকর্য সৌন্দর্য কোয়ালিটি নিয়ে কথা না বললেও চলে। কিন্তু তিনি মানুষ হিসেবে কতটা আন্তরিক ছিলেন, তা এই ছবিই বলে দেয়!’
তিনি আরও লিখেছেন, "পাঁচ বছর হয়ে গেলো! আশ্চর্য! অথচ তাকে ছাড়া বাংলাদেশের গানপ্রেমী মানুষের একদিন ও কী চলে! স্রষ্টা আপনাকে ভালো রাখুন কিশোর’দা।"
মূলত সিনেমার গানের শিল্পী (প্লেব্যাক গায়ক) হিসেবে কালজয়ী এন্ড্রু কিশোর। ১৯৭৭ সালে ‘মেইল ট্রেন’ সিনেমায় আলম খানের সুরে প্রথম গান করেন তিনি। তবে শ্রোতামহলে তার কণ্ঠ ছড়িয়ে পড়ে ১৯৭৯ সালের ‘প্রতিজ্ঞা’ সিনেমার ‘এক চোর যায় চলে’ গানের মাধ্যমে।
এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া কালজয়ী গানের মধ্যে রয়েছে ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে’, ‘বেদের মেয়ে জোছনা’, ‘তুমি আমার কত চেনা’, ‘সব সখিরে পার করিতে’, ‘ও সাথীরে’, 'তুমি চাঁদের জোছনা নও’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আকাশেতে লক্ষ তারা’, ‘কিছু কিছু মানুষের জীবনে’, ‘এক বিন্দু ভালোবাসা দাও’ ইত্যাদি।
শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে এন্ড্রু কিশোর ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। এছাড়া বাচসাস পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারও রয়েছে তার অর্জনের খাতায়।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন