শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক জমিতে বছরে চার ফসল ফলিয়ে লাভবান হচ্ছেন কুমিল্লার কৃষকরা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার এক জমিতে বছরে চার ফসল ফলিয়ে লাভবান হচ্ছেন জেলার বুড়িচং উপজেলার পাহাড়পুর এলাকার কৃষকরা । এক সময় এই গ্রামের কৃষকরা মৌসুমে দুইবার ধান চাষ করতো। বাকি সময় জমি খালি পড়ে থাকতো। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে সেখানে সরিষা ও তিল চাষ করা হচ্ছে। চার ফসল হিসেবে ফলানো হচ্ছে সরিষা, তিল, রোপা আউশ ও রোপা আমন।

কৃষি অফিসের সংশ্লিষ্ট সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, উপজেলার পাহাড়পুর এলাকায় ৬০ বিঘা জমিতে বারি সরিষা ১৪ চাষ করা হয়। সরিষা ফসল তোলার পর ২০ বিঘা জমিতে বিনাতিল-২, বারি তিল-৪ এবং হোমনার স্থানীয় তিল চাষ করা হয়েছে। এক জমিতে বছরে চার ফসল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।

সূত্রমতে, এই মাঠে বিঘা প্রতি ৪-৫ মণ তিল উৎপাদন হয়। যার বাজার মূল্য ১৬-১৮ হাজার টাকা। গড়ে খরচ হয় বিঘা প্রতি ৪ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি লাভ ১২-১৪ হাজার টাকা। সরিষা উৎপাদন হয় বিঘা প্রতি ৪-৫ মণ, যার বাজার মূল্য ১৬-২০ হাজার টাকা। গড়ে খরচ হয় বিঘাপ্রতি ৪ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি লাভ ১২-১৬ হাজার। আউশ ধান বিঘা প্রতি ১৪ মণ করে ফলন হলে আয়-১৫ হাজার টাকা, ব্যয়- ১১ হাজার টাকা ধরলে লাভ হতে পারে ৪ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন: নারিকেল গাছ রোপণ ও পরিচর্যা যেভাবে করবেন

স্থানীয় কৃষক রমজান হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, রবি মৌসুমে সরিষা চাষের পর পাহাড়পুর গ্রামের মাঠের জমিগুলো পতিত থাকতো। উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের তিল চাষের পরামর্শ দেয় ও বীজ বিতরণ করে। শুরুতে তিল চাষের অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেন। তবে সকল শঙ্কা কাটিয়ে ২০ বিঘা জমিতে তিল চাষ সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে জমির পরিস্থিতি দেখে বিঘা প্রতি ১২-১৪ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন কৃষকরা।  

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, বোরো-রোপা আমন শস্য বিন্যাসের স্থলে সরিষা-তিল-রোপা আউশ- রোপা আমন শস্য বিন্যাসে বিঘা প্রতি অতিরিক্ত আয় সম্ভব গড়ে ২৫ হাজার টাকা। পাহাড়পুরের মোট ৮০ বিঘা জমিতে প্রতি বছর অতিরিক্ত ২০ লাখ টাকা যুক্ত হবে অর্থনীতিতে। যা দেশে তেলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

এসি/কেবি

কৃষক চার ফসল

খবরটি শেয়ার করুন