ইহুদি উপাসনালয়ে হামলাকারী জিহাদ আল-শামি। ছবি: ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস
ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে সিনাগগে (ইহুদি উপাসনালয়) হামলা চালানো জিহাদ আল-শামি ধর্ষণের মামলায় জামিনে ছিলেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান। এই বছরের শুরুর দিকে একটি যৌন নিপীড়নের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল।
সিরিয়ায় জন্ম নেওয়া ৩৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তি অতীতে কিছু অপরাধে সাজাও পেয়েছিলেন, তবে তিনি কখনোই সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থার নজরে আসেননি।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, হামলার আগে কাউন্টার টেররিজম পুলিশ বা গোয়েন্দা সংস্থার সক্রিয় নজরদারিতে ছিলেন না জিহাদ। তবে তদন্ত চলমান ছিল।
গত বৃহস্পতিবার (২রা অক্টোবর) ম্যানচেস্টারের হিটন পার্ক হিব্রু কংগ্রেগেশন সিনাগগে ‘ইয়োম কিপুর’ (ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে পবিত্র দিন) উপলক্ষে প্রার্থনার সময় জিহাদ হামলা চালান।
এই ঘটনায় আড্রিয়ান ডলবি (৫৩) ও মেলভিন ক্রাভিটজ (৬৬) নামে দুজন নিহত হন। হামলায় আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হন। সশস্ত্র পুলিশ হামলাকারী জিহাদকেও গুলি করে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, জিহাদ সন্ত্রাসবাদবিরোধী সংস্থার তালিকায় না থাকলেও তার অপরাধমূলক অতীত ছিল। তবে সেগুলো সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল না।
এ অবস্থায় পুলিশ খতিয়ে দেখছে, ২০১২ সালে কনজারভেটিভ এমপি জন হাওয়েলকে দেওয়া এক প্রাণনাশের হুমকির সঙ্গে জিহাদের কোনো যোগ ছিল কি না। জিহাদ আল-শামি নামে কারও পাঠানো ওই ইমেইলে বলা হয়েছিল—‘আপনার মতো লোকই মরার যোগ্য’।
হাওয়েল পরবর্তীতে বলেছিলেন, এই ধরনের হুমকিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়, কারণ তা শুধু রাজনীতিবিদের জীবন নয়, তার পরিবার ও কর্মীদেরও ঝুঁকিতে ফেলে।
ভয়াবহ এই হামলা আবারও যুক্তরাজ্যে নিরাপত্তা ও নজরদারি ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে, জামিনে থাকা ও অপরাধমূলক অতীত থাকা একজন ব্যক্তির এভাবে ধর্মীয় উপাসনালয়ে রক্তক্ষয়ী হামলা চালানো আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন