ছবি : সংগৃহীত
বাইরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। এপ্রিল মাসের শেষেই এই অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কালবৈশাখীর দেখা মেলেনি। এই দাবদাহ ডায়রিয়ার সমস্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি গরমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়েছে? যা করবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক-
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে পর্যাপ্ত পানি পানের বিকল্প নেই।
এই গরমে শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি বেরিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে দেহে পানির ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। এর প্রভাব বাড়াচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা। এ সমস্যা কাটাতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পানের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
আর যারা এই গরমের দিনেও বাইরে বেরিয়ে কাজ করছেন, তাদের আরেকটু বেশি পান করতে হবে। প্রয়োজনে স্যালাইন, ফলের রসও খেতে পারেন। এছাড়াও আরও যা করতে পারেন-
আরো পড়ুন : ফোন ছাড়া থাকলেই অস্থির লাগে?
ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খান
ভারতীয় একজন চিকিৎসকের মতে, শাকসবজি এবং ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এই উপাদান হজমের সমস্যা কমায়। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে খাদ্যতালিকায় এইসব প্রাকৃতিক খাবারগুলিকে বেশি পরিমাণে জায়গা করে দিন।
ব্যায়াম
তীব্র গরমের কারণে অধিকাংশ মানুষই ব্যায়াম করা থেকে বিরত রয়েছেন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা বাড়ছে। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে সকালবেলায় রোদ ওঠার আগে বা সন্ধ্যার পর আবহাওয়া ঠান্ডা হওয়ার পর নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। আর ব্যায়ামে আগ্রহ না পেলে ৩০ মিনিট হাঁটুন। তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় উপকার পাবেন।
দই
দই প্রোবায়োটিক বা উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভাণ্ডার। আর এই উপাদান অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খুবই উপকারী। এই সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে নিয়মিত বাড়িতে বানানো লো ফ্যাট মিল্কের টক দই খেতে পারেন। তাতে উপকার পাবেন।
আটার রুটি খান
ভাতে তেমন একটা ফাইবার থাকে না। তাই গরমে বেশি বেশি ভাত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থাকে। এ কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা রোগীদের প্রতিদিন আটার রুটি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। আর যারা রুটি খেয়ে সহ্য করতে পারেন না, তারা ওটস খেতে পারেন।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন