রবিবার, ৯ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ১৫ জেলায় নতুন ডিসি *** জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন *** খালেদ মুহিউদ্দীনের ইংরেজি জ্ঞান নিয়ে উদ্বেগ কেন? *** প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান জানালে আমরা যাব, অন্য দলকে দিয়ে আহ্বান কেন: সালাহউদ্দিন *** দেশের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান কী *** কারও দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান *** রাজশাহীর প্রশংসা উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের, এড়িয়ে গেলেন নির্বাচন প্রসঙ্গ *** আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে: শফিকুল আলম *** দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর *** আওয়ামী লীগের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাচ্ছে আমেরিকা, ইউরোপ!

মসজিদভিত্তিক তথ্য প্রচারে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৪৩ ভাগ কমেছে

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:৩৯ অপরাহ্ন, ১৪ই নভেম্বর ২০২৪

#

প্রি-ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এড়াতে, মসজিদভিত্তিক তথ্য প্রচারের উদ্যোগে বড় সাফল্য পেয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গবেষণায় দেখা গেছে, এভাবে মানুষকে সচেতন করার ফলে, রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি কমেছে ৪৩ ভাগ। সফলতার কারণে সব ধর্মের উপাসনালয়ে তথ্য প্রচারের ব্যবস্থা চালু করতে চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সারা দেশে সাড়ে তিন লাখের মতো মসজিদ আছে। প্রতি শুক্রবার প্রায় ৫ কোটি মানুষ জুমার নামাজ আদায় করেন। খুতবায় ডায়াবেটিস প্রতিরোধে তথ্য প্রচারে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আট উপজেলায় একটি প্রকল্প নেয় ডায়াবেটিস সমিতি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ও কাবা শরীফের ইমামের সহায়তায় এই বার্তা প্রস্তুত করা হয়।

এসব উপজেলার নির্দিষ্ট মসজিদে বসানো হয় ডায়াবেটিস কর্নার। সেখানে ব্লাড সুগার পরীক্ষা ও রক্তচাপ মাপার ব্যবস্থা আছে। রোগ প্রতিরোধেও দেয়া হয় নানা পরামর্শ। এর আগে ইমামদের দেওয়া হয় প্রশিক্ষণ।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক একে আজাদ খান বলেন, ‘আমাদের ধর্মে যে কথাগুলো আছে, সেই কথাগুলো যদি খুদবার মাধ্যমে বলা হয় তাহলে মানুষের ইনফ্লুয়েন্স (প্রভাব) বাড়ে। আমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যে ইমামরা আছেন তাদের সাথে কথা বলেছি। দেখলাম তারা কথা বলতে উদগ্রীব।’

এই উদ্যোগের সাফল্য জানতে ১০ হাজার মানুষের ওপর চলে গবেষণা। তাদের অর্ধেককে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে নিয়মিত বার্তা দেওয়া হয়। বাকি অর্ধেকের শুধু ব্লাড সুগার মাপা হয়। এক বছর পর দেখা যায়, যারা রোগের তথ্য জেনে জীবনযাপনে পরিবর্তন এনেছেন তাদের ঝুঁকি কমেছে ৪৩ ভাগ। তথ্য না পাওয়াদের মধ্যে রোগটির প্রকোপ সাত ভাগ বেশি।

সেন্টার ফর গ্লোবাল হেলথ রিসার্চের প্রকল্প পরিচালক ডা. বিশ্বজিৎ ভৌমিক বলেন, তাদের লিবিট প্রোফাইল উন্নতি হয়েছে, নলেজের উন্নতি হয়েছে, জীবনমানের উন্নতি হয়েছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই এলাকাগুলোর মানুষদের শরীরিক সক্ষতা অনেক বেড়েছে।

দেশে বর্তমানে আড়াই কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন।

ওআ/ আই.কে.জে/

ডায়াবেটিস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250