বুধবার, ২রা এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে নতুন বাংলাদেশে উগ্রবাদ উত্থানের প্রসঙ্গে যা বলা হয়েছে *** নিউইয়র্ক টাইমসের আলোচিত নিবন্ধ নিয়ে যা বলছে সরকার *** সবাই মিলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: খালেদা জিয়া *** শুল্ক নিয়ে কাল কী ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প *** চীন সফরে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্যে যা হচ্ছে ভারতে *** তাপপ্রবাহের মধ্যে দেশজুড়ে বৃষ্টির কথা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর *** প্রধান উপদেষ্টাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শাহবাজ শরিফের ফোন *** অধ্যাপক ইউনূসকে নরেন্দ্র মোদির ঈদের শুভেচ্ছা *** দেশে এখন শান্তি ফিরিয়ে আনা জরুরি: প্রধান উপদেষ্টা *** এনসিপির সঙ্গে কাজ করার ইঙ্গিত বিএনপির!

ফোন ছাড়া থাকলেই অস্থির লাগে?

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৩১ অপরাহ্ন, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

ফোন চার্জে দিচ্ছেন, তবে সেটি এমন জায়গায় রাখছেন যেন হাতের নাগালেই থাকে। ঘুমাবেন অথচ মাথার আশপাশে সুইচবোর্ড নেই। সেজন্য বিছানার একপাশে ‘এক্সটেনশন’ বোর্ড টানালেন। কারণ ফোন হাতছাড়া করা যাবে না। ফোন ছাড়া থাকলেই অস্থির লাগছে। আপনারও কি এমন ফোন ছাড়া থাকলেই অস্থির লাগে? সতর্ক হোন এখুনি-

ফোন হাতছাড়া হওয়ার এই অস্থিরতা, উদ্বেগ, ভয়কে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয় ‘নোমোফোবিয়া’ বা ‘নো-মোবাইল-ফোবিয়া’।

মনোবিদরা বলছেন, মানুষের মধ্যে নোমোফোবিয়া দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায়ও সে প্রমাণ মিলেছে।

মোবাইলে আসক্তি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি করে। সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এই আসক্তির পেছনে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার কারসাজি ও অনলাইন গেম। বড়দের ক্ষেত্রে বিষয়টি অন্যরকম। তাদের ফোনের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতাও ‘নোমোফোবিয়া’-র জন্ম দেয়।

আরো পড়ুন : তীব্র গরমে কী কী রোগ হয়? প্রতিরোধে যা করণীয়

নোমোফোবিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ কী?

১. সবসময় ফোনের নোটিফিকেশন চেক করা। কী মেসেজ এলো, আদৌ কোনো মেসেজ এলো কি না, তা নিয়ে মনে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়া।

২. যতক্ষণ না হাতে ফোনটি আসছে ততক্ষণ মনের মধ্যে কী হলো, কী হয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে মনে ভয় কাজ করতে থাকে।

৩. ফোনের ব্যাটারি লো সিগন্যাল দেখালে বা বন্ধ হয়ে গেলেই অনেকের প্যানিক অ্যাটাক হয়। কী করবেন ভেবে পান না। অস্থির হয়ে ওঠেন।

৪. সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকতে না পারার উদ্বেগ বেশি দেখা যায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। সারাক্ষণ মনে অদ্ভুত এক অস্থিরতা কাজ করতে থাকে।

৫. হাতের কাছে ফোন না থাকার কষ্টে অনেক সময় ‘উইথড্রয়াল সিম্পটম’ও দেখা যায়। অনিদ্রাজনিত সমস্যা, অবসাদ, খাবারে অনীহা, সারাক্ষণ খিটখিট করার মতো লক্ষণ দেখা যায়।

সময়মতো চিকিৎসা না নিলে কী হতে পারে?

দিনের পর দিন এ ধরনের সমস্যা এড়িয়ে গেলে তা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াতে পারে। মানসিক চাপ, অবসাদ, একাকিত্বের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে এমনটা চলতে থাকলে ঘুমের স্বাভাবিক চক্র বিঘ্নিত হতে পারে। পরিস্থিতি জটিল হলে অবশ্যই মনোবিদের পরামর্শ নিতে হবে।

সমাধান কোন পথে?

১. স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় সম্পর্কে নিজেকেই সচেতন হতে হবে।

২. অবসাদ, উদ্বেগ বাড়তে পারে এমন জিনিস ফোনে না দেখাই ভালো।

৩. সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার অভ্যাস করতে হবে।

এস/ আই.কে.জে/

ফোন স্বাস্থ্য পরামর্শ নোমোফোবিয়া

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন