ছবি : সংগৃহীত
বর্তমানে অল্প বয়সেই নানা রোগব্যাধি বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। সেসবের মধ্যে স্থূলতা, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া, দেহে মন্দ কোলেস্টেরলের উপদ্রব অন্যতম। সেসব থেকে সৃষ্টি হয় আরও নানা রোগ।
এসবের কারণ ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা, একটানা ফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে কাজ করা, ব্যায়াম না করা কিংবা ভুল খাদ্যাভাস। অথচ বলা হয়, বয়স ৬০ বছরের নিচে হলে ৮ থেকে ১০ হাজার কদম হাঁটতে হবে।
জীবনযাপনে যত্নবান হলে এসব রোগ থেকে নিরাময় লাভ করা সম্ভব। ব্যস্ততার কারণে ব্যায়ামের সময় না পেলেও প্রতিদিন কিছুটা হাঁটলেও ওসব রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
আরো পড়ুন : গরমে কোন রঙের পোশাক পরলে শরীর ঠান্ডা থাকবে?
দৈনিক কত কদম হাঁটবেন?
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হাঁটা সুস্থতার জন্য সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী ব্যায়াম। তাই দিনের যে কোনো সময়ে হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে অনেককেই বলতে শোনা যায়, নির্দিষ্ট পরিমাণ হাঁটার পরও ওজন কমছে না! সেক্ষেত্রে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটাহাঁটির আগে জেনে নিন বয়স অনুযায়ী আপনার ঠিক কত কদম হাঁটা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বলছে, প্রতিটি মানুষের দিনে ৮ কিলোমিটার হাঁটা উচিত। আবার ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের পরামর্শ হচ্ছে, নিয়মিত ১৫০ মিনিট মাঝারি থেকে ভারি ব্যায়াম শরীরের জন্য ভালো অথবা ৩০ মিনিট হাঁটা।
অন্যদিকে সায়েন্টিফিক আমেরিকান ম্যাগাজিন বলছে, ৬০ বছরের কম বয়স হলে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার পা হাঁটতে হবে। যদিও প্রতিদিন নিয়ম করে সেটা সম্ভব নাও হতে পারে।
তবে ইচ্ছে থাকলে ১০ হাজার কদম হাঁটার লক্ষ্য পূরণ করা অসম্ভব নয়। দিনে ৮ থেকে ১০ হাজার কদম হাঁটলে তা হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক শারীরিক সুস্থতার জন্য বেশ কাজে দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার হাঁটা শরীরের জন্য ভালো। বয়স ৬০ বছরের কম হলে ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার হাঁটা উচিত। ধীরে ধীরে হাঁটার এই পথ বাড়ানো যেতে পারে। আর ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের অন্তত একঘণ্টা ব্যায়াম বা ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার হাঁটা বা খেলাধুলা করা উচিত।
যে কোনো বয়সীদের জন্যই ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটা ভালো। নিয়মিত হাঁটলে বিভিন্ন রকম উপকার হয়। যেমন- রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, মানসিক চাপ কমে, মন ফুরফুরে থাকে, এনার্জি বেড়ে যায়। রোজ হাঁটাহাঁটি করলে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
এস/ আই.কে.জে