রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** লাল ফিতার দৌরাত্ম্য ভেঙে দিতে হবে: ময়মনসিংহে জোনায়েদ সাকি *** মেছো বিড়াল হত্যার অপরাধে ঝিনাইদহে একজন গ্রেফতার *** ‘জনশক্তি’ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি : জাতীয় নাগরিক কমিটি *** চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, শুধু চাঁদাবাজের পরিবর্তন হয়েছে : হাসনাত *** লাইসেন্স ও ট্যাক্সের আওতায় আসছে ব্যাটারিচালিত রিকশা *** মেঘাচ্ছন্ন ঢাকার আকাশ, সূর্যের দেখা মিলবে যেদিন *** বছরের দীর্ঘতম রাত আজ, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল *** পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-খুলনা রুটে ট্রেনের ভাড়া ও সময়সূচি *** মূল্যস্ফীতি প্রকাশে কারচুপি নেই, তাই বেশি দেখাচ্ছে : অর্থ উপদেষ্টা *** জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ

শেরপুর মুক্ত দিবস আজ

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:০১ পূর্বাহ্ন, ৭ই ডিসেম্বর ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

আজ ৭ই ডিসেম্বর; শেরপুর পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলার সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধারা শেরপুর অঞ্চলকে শত্রুমুক্ত করেন। 

এদিন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার ও মিত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা হেলিকপ্টারযোগে শেরপুর শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্ক মাঠে অবতরণ করেন। ওই সময় শেরপুরের মুক্তিকামী ছাত্রজনতা জেনারেল অরোরাকে সংবর্ধনা দেন। তিনি সংবর্ধনা সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেরপুরকে হানাদারমুক্ত বলে ঘোষণা দেন। ওইসময় মুক্ত শেরপুরে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

জানা যায়, স্বাধীনতার ডাক দেওয়ার পর দেশের অন্যান্য স্থানের মতো শেরপুরবাসী পুরোপুরি যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হন। স্বাধীনতাকামী ছাত্রজনতা যেকোনও কিছুর বিনিময়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে মোকাবেলা করার দৃঢ় প্রত্যয়ে দৃপ্ত হয়। এদিকে ২৬শে এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে পাক হানাদার বাহিনী ব্যাপক মর্টারশেলিংয়ের মাধ্যমে শেরপুর শহরে শনিবিগ্রহ মন্দিরের পুরোহিতকে গুলি করে হত্যা করার মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে। পাক সেনারা স্থানীয় দালালদের সহায়তায় শহরের দোকানপাট লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, দখল ও নির্মমভাবে হত্যাসহ ধর্ষণ প্রভৃতি অত্যাচার চালায়। ১১নং সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা মিত্র বাহিনীর সহায়তায় লড়াই চালিয়ে আসছিল এবং ২৪শে অক্টোবর কামালপুর অবরোধ শুরু হয়। এছাড়াও ওই আক্রমণের রণ-কৌশল ছিল ভিন্ন ধরনের।

আরো পড়ুন : আজ মাগুরা হানাদার মুক্ত দিবস

১৩ই নভেম্বর কর্নেল তাহের কামালপুরের উপর পূর্ণ আক্রমণের নির্দেশ দেন। কারণ কর্ণেল তাহেরের নেতৃত্বাধীন ১১নং সেক্টরের মূল পরিকল্পনা ছিল কামালপুর, শেরপুর, জামালপুর এবং টাঙ্গাইলের ওপর ক্রমানুযায়ী আক্রমণের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া, যাতে করে ঢাকায় চূড়ান্ত আঘাত হানা যায়। ১৪ই নভেম্বর ভোরে আবার যুদ্ধ শুরু হলে শেরপুর-বকশীগঞ্জ সড়কের মাঝপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে দুই প্লাটুন সৈন্যসহ পাকবাহিনীর মেজর আইয়ুব আহত হন। এদিন বিজয়ের মাঝামাঝি সময়ে তুমুল সম্মুখযুদ্ধে পাকসেনাদের কামানের গোলার আঘাতে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের আহত হয়ে একটি পা হারান। 

২৪শে নভেম্বর শেরপুর সদর থানার কামারিয়া ইউনিয়নের সুর্যদী গ্রামে পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাসহ ৪৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। মুক্তিযোদ্ধাদের অব্যাহত অবরোধের মুখে ৪ ডিসেম্বর কামালপুর ঘাঁটির পাক সেনারা আত্মসমর্পণ করে। এদিকে কামালপুর দুর্গ পতনের পর পাকবাহিনীর মনোবল ভেঙ্গে পড়ে। সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতীর শালচূড়া ক্যাম্প ও আহাম্মদনগর ঘাঁটির পাকসেনারা পিছু হটতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ৬ই ডিসেম্বর গভীর রাতে শেরপুর থেকে পিছু হটে জামালপুর পিটিআই ক্যাম্পে গিয়ে জমায়েত হয়। এভাবে রাতের আধাঁরে শেরপুর পাকবাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় এবং ৭ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে শেরপুর মুক্ত হয়।

এস/ আই.কে.জে/

মুক্ত দিবস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন