মঙ্গলবার, ৭ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাদ বাগানে বিভিন্ন জাতের আঙুর চাষে সফল এমাদ উদ্দিন

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:২০ পূর্বাহ্ন, ৩১শে মে ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

শখের বশে বাড়ির ছাদে আঙুর বাগান গড়ে তোলেন এমাদ উদ্দিন চৌধুরী বিটু। সীতাকুণ্ডে প্রথম আঙুর চাষে ছাদ বাগানের সফলতা দেখে উচ্ছ্বসিত কৃষি বিভাগও। একসময় বাগান নিয়ে খুবই সংশয়ে ছিলেন। ফলন আসা শুরু হলে অনেক খুশি হন তিনি।  বাগানটি গড়ে তোলা হয়েছে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের পাকা মসজিদ এলাকার মুন্সি সাদেক আলী চৌধুরীর বাড়িতে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৌখিন চাষি এমাদ উদ্দিন চৌধুরী বিটু বাড়ির ছাদে ৫৫ জাতের আঙুর চাষ করেছেন। এখানে বাইকুনুর, আত্তিকা, প্লামিনকো, ডিক্সন, ডাশুনিয়া, গুরি, গ্রিন লং, লোরাস, একাডেমিক, ট্রান্সফিগারেশন, দোভস্কি পিংক, ফ্লেম সিডলেস, লিচি ফ্লেভার প্রভৃতি জাতের আঙুর আছে। তিনি এসব গাছ সংগ্রহ করেছেন আমেরিকা, ইউক্রেন, জাপান, চীন ও ভারত থেকে।

এমাদ উদ্দিন চৌধুরী বিটু বলেন, ‘শখের বশে চাষ করলেও সফলতা নিয়ে সংশয়ে ছিলাম। অনেক খুঁজে ৫৫টি জাতের চারা ছাদে রোপণ করি। ফলন আসা শুরু হলে সবাই বিস্মিত হন আঙুর দেখে। সবার ধারণা ছিল, এখানে আঙুর টক হবে। কিন্তু মিষ্টি আঙুরই হয়েছে। মানুষ এখন বাগান দেখতে ভিড় জমান। এ সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে চাই। আশা করি বড় পরিসরে আঙুর চাষ দেখতে পাবেন।’

আরো পড়ুন: সবুজ পাতার ফাঁকে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে দুর্লভ লাল সোনাইল

স্থানীয় কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়ন শুধু নয়, উপজেলার কোথাও এমন আঙুর চাষ হয়েছে কি না জানা নেই। বাগানে গিয়ে অনেক রকমের আঙুর দেখলাম। খেয়ে আমিও বিস্মিত। যেমন আকর্ষণীয় সাইজ; তেমনই মিষ্টি খেতে। বাগানটি দেখে আঙুর চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বহু যুবক। যা স্থানীয় কৃষিকে সমৃদ্ধ করবে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন বহু যুবক।’

সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুল্লা বলেন, ‘এখানে এটিই প্রথম সফলতা। ফলনও ভালো হয়েছে। মিষ্টিও হয়েছে। তবে এখানকার আবহাওয়ায় আঙুরের ভেতরে বিচি হয়েছে। কিছু প্রক্রিয়ায় আশা করি বিচি হবে না। সব মিলিয়ে তিনি যেভাবে সফল হয়েছেন, তা অন্যদের জন্য উদাহরণ হবে। আশা করি চাষ আরো বাড়বে। আমরাও তাদের সহযোগিতা করতে চাই।’

এসি/  আই.কে.জে

ছাদ বাগান মিষ্টি আঙুর

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250