ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড-এর নতুন কমিটির সদস্য হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী শবনম। দুইদিন সময় চেয়ে সেটি আবার বিনয়ের সঙ্গে ফেরতও দিয়েছেন। জানিয়েছেন নিজের অপারগতা ও অনাগ্রহের কথা। শেষ দিনগুলো মাতৃভূমিতেই সবার সঙ্গে হেসে-খেলে কাটিয়ে বিদায় নিতে চান তিনি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের নাম পরিবর্তন করে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড করার সিদ্ধান্ত হয়। সেন্সর বোর্ডের সদস্যরাই নবগঠিত সার্টিফিকেশন বোর্ডে দায়িত্ব পালন করবেন। এরমধ্যে দুজন সদস্য সরে দাঁড়ানোয় শূন্যতা সৃষ্টি হলে সেটি পূরণের লক্ষ্যে প্রস্তাব করা হয় শবনমকে।
পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী শবনমকে বৃহস্পতিবার (১৯শে সেপ্টেম্বর) মুঠোফোনে কল করে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি দুই দিন সময় চান সিদ্ধান্ত নিতে। এর মধ্যে ৭৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বোর্ডে থাকার বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: অর্থকষ্ট দেখে অমিতাভকে নিয়ে হাসতো বলিউড : রজনীকান্ত
শবনম বলেন, ‘মুঠোফোনে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা আমাকে প্রস্তাব করেছিলেন বোর্ডে থাকতে। কিন্তু এ মুহূর্তে আমার শরীর অনেক কিছুই পারমিট করে না। প্রতিদিন ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি। সিনেমা নিয়ে ভাবার সময়ও পাই না। তবে, মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ, তারা আমার কথা মনে করেছেন বলে। কারণ, তারা আমাকে নাও ভাবতে পারতেন।’
কিংবদন্তি যোগ করেন, ‘শরীর পারমিট না করলে কিছুই ভালো লাগে না। বোর্ডে থাকলে ভালো লাগতো। কিছুদিন আগে পাকিস্তান ফিল্ম ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যানের পদে অফার করেছিল তারা। এর জন্য মোটা অঙ্কের সম্মানীও দিতে রাজি ছিল। কিন্তু এ বয়সে এই গুরুভার নেওয়ার মতো ফিটনেস আমার নেই। তাছাড়া দেশ ছেড়ে কোথাও আর যেতে চাই না। যে ক’টা দিন বাঁচি, মাতৃভূমিতেই সবার সঙ্গে হেসে-খেলে কাটিয়ে বিদায় নিতে চাই।’
শবনম চলচ্চিত্রে যুক্ত হয়েছিলেন ১৯৫৮ সালে। ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ সিনেমার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। এরপরের বছর উর্দু সিনেমা ‘চান্দা’য় অভিনয় করে পাকিস্তানে তারকাখ্যাতি পান।
এসি/কেবি