শনিবার, ৮ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৫টি বোয়িং বিমান কেনার কার্যাদেশ দিয়েছে বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:১৭ অপরাহ্ন, ৮ই নভেম্বর ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার সঙ্গে ‘শুল্ক চুক্তির অংশ হিসেবে’ উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি বিমান কেনার কার্যাদেশ দিয়েছে বাংলাদেশ। গত বৃহস্পতিবার (৬ই নভেম্বর) সংবাদসংস্থা এএফপিকে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। এএফপি/সিএনএ। 

মাহবুবুর রহমান নামের ওই কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘প্রতিশ্রুতি অনুসারে ২৫টি ওয়াইড বডি বিমান অর্ডার করেছি। আশা করছি প্রথমটি ২০২৯ সালের মধ্যেই পাওয়া যাবে। আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক চুক্তির অংশ হিসেবে উড়োজাহাজগুলো কেনা হচ্ছে।’ 

খবরে বলা হয়েছে, গত আগস্টে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত অতিরিক্ত শুল্ক কমানোর জন্য আমেরিকার সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করে বাংলাদেশ। তাতেই প্রস্তাব দেওয়া হয় বোয়িং বিমান কেনার। ওয়াশিংটনকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গম, তুলা ও তেল আমদানি বাড়ানোরও উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

এদিকে বোয়িংয়ের ইউরোপীয় প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারবাস ১৪টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশকে। মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এয়ারবাসের প্রস্তাবও বিবেচনা করে দেখছে সরকার। আমাদের কাছে এয়ারবাসের প্রস্তাবও আছে এবং বর্তমানে তাদের প্রস্তাবের মূল্যায়ন চলছে।’

বাসস জানায়, রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ দুটি প্রস্তাবই বিবেচনা করে দেখছে। এয়ারবাস ১০টি ওয়াইড বডির এ-৩৫০ ও চারটি ন্যারো বডির এ-৩২০ নিও মডেলের উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। বোয়িং ওই ২৫টি ছাড়াও আরও ১০টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ও চারটি ৭৩৭ ম্যাক্স জেট বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশ বিমানের বহরে এখন ১৯টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি বোয়িংয়ের।

বাসস জানিয়েছে, চলতি মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশকে এয়ারবাস বিমান কেনার জন্য আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন। ফরাসি দূতাবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, ‘বিমান চলাচল খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই সুযোগ কাজে লাগাতে চায়।’

বাংলাদেশের রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশ আসে টেক্সটাইল ও পোশাক খাত থেকে। ২০২৪ সালে সরকার পতনের আন্দোলনে মারাত্মক অস্থিরতার সময় ব্যাপক ক্ষতির পর এই শিল্পটি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ২০ শতাংশ রপ্তানি হয়ে থাকে আমেরিকায়।

গত এপ্রিলে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশকে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন- যা তুলা পণ্যের ওপর ইতোমধ্যে আরোপিত ১৬ শতাংশের দ্বিগুণেরও বেশি। আগস্টে একটি চুক্তির পর তা ২০ শতাংশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। 

জে.এস/

শুল্ক চুক্তি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250