ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও গণভোটের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেবেন বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, ‘গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র বিরোধ দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে দ্রুতই ফয়সালা আসবে। ২৭০ দিন আলাপ-আলোচনার পর রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্যের মধ্যে যে অনৈক্যের সুর দেখছি, তা হতাশাজনক।’
আজ বৃহস্পতিবার (৩০শে অক্টোবর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ২৭০ দিন আলাপ-আলোচনার করার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই অনৈক্য হতাশাজনক। আগে বিষয়বস্তু নিয়ে বিরোধ ছিল। এখন গণভোট নিয়ে দ্বিমত তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দলগুলোও উত্তেজিত ভূমিকা পালন করছে। এ সময় অনৈক্যের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল এককভাবে তাদের সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে জুলাইয়ের চেতনা কোথায় থাকে? যে যা বলুক, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে। তবে ভোটের পরিবেশ ঠিক রাখার দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, দলগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাদের (রাজনৈতিক দল) তো আসলে ঐকমত্য হয়নি। কিছু ভাইটাল (গুরুত্বপূর্ণ) প্রশ্নে এর আগে আমরা জেনেছিলাম কটটেন্ট নিয়ে বিরোধ ছিল, যে সংস্কার হবে সেই বিষয়বস্তু নিয়ে বিরোধ ছিল। এখন আবার দেখলাম আরো দুই ধরনের বিরোধ তৈরি হয়েছে; একটা হচ্ছে আপনার এটা (জুলাই সনদ) কী পদ্ধতিতে পাস করা হবে, আরেকটা হচ্ছে এই জন্য গণভোট হলে–তা কবে হবে।’
তিনি বলেন, ‘(রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধ) এত দৃঢ় এবং পরস্পরবিরোধী। কী বলব? যে উত্তেজিত ভূমিকা নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো, যারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে ছিল, আপনারা যদি এ রকম একটা ভূমিকা নেন, তাহলে সরকার কী করবে? আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এত দিন আলোচনার পর যদি আপনাদের ঐকমত্য না আসে, এখন আমরা আসলে কিভাবে কী করব এটা নিয়ে সত্যি আমাদের একটু চিন্তা করতে হচ্ছে।’
আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ নিয়ে সাধারণ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনৈক্যের বিষয়গুলো একটা হচ্ছে, আপনারা জানেন ঐকমত্য কমিশন দুটি বিকল্প দিয়েছে। একটা হচ্ছে আপনার জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ তারপর গণভোট; তারপরে ২৭০ দিনের মধ্যে না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধান সংশোধন হয়ে যাবে। তো এরকম কোনো নজির আছে কি না বা এটা আদৌ সম্ভব কি না–এটা আমরা দেখব। আরেকটা হচ্ছে এই দায়দায়িত্ব নির্বাচিত সংসদের হাতে ছেড়ে দেওয়া। এই দুইটা বিকল্পের মধ্যে কোনটা আসলে বেশি গ্রহণযোগ্য, সেটা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র মতবিরোধ রয়েছে। আর গণভোট কবে হবে ওটা নিয়ে তো বিরোধ তীব্রতম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।’
খবরটি শেয়ার করুন 
                      
                                                
                                             
                                         
                                                         
                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                             
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                            