সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীর করতে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত প্রধান উপদেষ্টার *** দোহার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন ড. ইউনূস *** হাজিদের জন্য বাড়িভাড়া নেওয়ার কাজ শতভাগ সম্পন্ন *** ক্যাথলিক চার্চকে বদলে দিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস *** ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা *** বিয়ের পর কনডম ব্যবহার করলে চাকরি থাকবে না! *** ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে দেশ, বাড়াতে হবে প্রস্তুতি *** শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার হাতে *** আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স কী শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যাবেন *** রেলওয়ে হাসপাতালগুলো উন্মুক্ত হচ্ছে সর্বসাধারণের জন্য

প্রেমিকাকে না পেয়ে যেভাবে পোপ হয়েছিলেন ফ্রান্সিস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, ২১শে এপ্রিল ২০২৫

#

২০১৪ সালে পেপাল ম্যাস অনুষ্ঠানে পূর্বসূরি ষোড়শ বেনেডিক্টকে অভিবাদন জানাচ্ছেন পোপ ফ্রান্সিস। ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

ছেলেবেলায় সমবয়সী এক মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। প্রেমিকাকে বলেছিলেন, ‘আমাকে যদি বিয়ে না করো, তাহলে এ জীবন ঈশ্বরের সাধনায় উৎসর্গ করে দেব।’

কৈশোরে সেই প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ব্যথা বুকে নিয়েই পোপ এতটা পথ একলা পাড়ি দিয়েছেন। ধর্ম সাধনা করেছেন। এর স্বীকৃতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রোমান ক্যাথলিক চার্চের পোপ হিসেবে। খবর দ্য টেলিগ্রাফ ও দ্য গার্ডিয়ানের। 

রোমান ক্যাথলিকদের প্রধান ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস আজ ২১শে এপ্রিল মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। ২০১৩ সালের মার্চে পোপ নির্বাচিত হন তিনি।

ভ্যাটিকানের দাপ্তরিক ওয়েবসাইট ‘দি হোলি সি’–এর তথ্যমতে, পোপ ফ্রান্সিসের আগের নাম জর্জ মারিও বারগোগ্লিও। জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৭ই ডিসেম্বর, আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসের। বাবা মারিও আর রেগিনা সিভোরি। ইতালীয় অভিবাসী বাবা মারিও ছিলেন রেলওয়ের হিসাবরক্ষক।

পোপ ফ্রান্সিসের আদি নাম হোর্হে মারিও বেরগোগলিও। ফ্রান্সিস নামটি বেছে নেন পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর। আর তার স্বপ্নের সেই প্রেমিকার নাম এমিলিয়া দামন্তে। ২০১৩ সালে দুজনেরই বয়স যখন ৭৬ বছর, তখন সেই এমিলিয়াই প্রকাশ করেন তাদের গোপন প্রেমের খবর।

এমিলিয়া বলেন, ‘তখন আমরা ১২ বছরে পা দিয়েছি। থাকতাম আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেসের ফ্লোরেস উপশহরে। বেরগোগলিও একদিন একটা চিঠি দিল। আমাকে বিয়ে করতে না পারলে সংসারত্যাগী হবে, ধর্মযাজক হয়ে যাবে বলেও জানিয়ে দিল।’

ফ্রান্সিসের ছোট বোন মারিয়া এলেনা বেরগোগলিও সে সময় দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘আমার ভাই মৃদুভাষী। পৃথিবীর ১২০ কোটি রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টানের নেতা হওয়ার কোনো বাসনাই তার ছিল না। কখনো পোপ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন না। আজ তিনি সারা বিশ্বের ক্যাথলিকদের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। এখন তাকে সীমাহীন নিঃসঙ্গ জীবন কাটাতে হবে। আমি নিজেও চাইনি, আমার ভাই পোপ হন। কারণ, এতে তার ঘাড়ে অনেক দায়িত্ব বর্তাবে। তিনি আমাদের থেকে আরও দূরে চলে যাবেন।’

তবে পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর ভাইকে নিয়ে গর্বিতই ছিলেন মারিয়া। তিনি বলেন, ‘এ এক ঐতিহাসিক ঘটনা। ইউরোপের বাইরে আমার ভাই–ই প্রথম পোপ নির্বাচিত হয়েছেন। লাতিন আমেরিকা ও আমাদের জন্মভূমি আর্জেন্টিনা থেকে তিনিই প্রথম নির্বাচিত পোপ। ঈশ্বরের সদয় কৃপা ছাড়া এমন ভাই পাওয়া যায় না।’

২০১৩ সালে বেরগোগলি পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর এমিলিয়া বলেন, ‘আজ আর আমার লুকানোর কিছু নেই। ওটা ছিল অবুঝ প্রেম। আমাদের সম্পর্ক ছিল পবিত্র। তবে আমার মা–বাবার বাধার কারণে সেই প্রেম বিকশিত হয়নি। চিঠিটিতে একটি ঘরের ছবি এঁকেছিল সে। ছাদ লাল রঙের। ওর স্বপ্ন ছিল, এমন একটি ঘর কিনবে, বিয়ের পর আমাকে নিয়ে সেখানে থাকবে। চিঠি পড়ল বাবার হাতে।’

তিনি বলেন, ‘তিনি তো রেগে আগুন। আমাকে আচ্ছামতো পেটালেন বাবা। এর পর থেকে ওকে আর কখনো দেখিনি। মা–বাবা আমাকে দূরে দূরে সরিয়ে রাখতেন। ওর সঙ্গে দেখা হোক, তা চাইতেন না। একপর্যায়ে আমিও চাইতাম, ও যেন আমার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যায়। তা–ই হয়েছিল, ধীরে ধীরে দূরে সরে গিয়েছিল সে।’

এইচ.এস/


পোপ ফ্রান্সিস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন