ছবি : সংগৃহীত
পৌষ মাস না পড়তেই অগ্রহায়ণের শীতে কাঁপছে উত্তরের হিমপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়। টানা সপ্তাহ সময় ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে এ জেলায়। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত তাপমাত্রা নেমে আসছে নিম্নস্তরে।
রাত থেকে ভোর পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকছে ১০-১১ ডিগ্রির মধ্যে, আরেকদিকে দিনে তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে থাকায় দুই রকম আবহাওয়ায় বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি।
মঙ্গলবার (৩রা ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়। এর আগে ভোর ৬টায় ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যা আগের দিনের তুলনায় সামান্য বেড়েছে তাপমাত্রা।
ভোরেই ঝলমলে রোদ নিয়ে উঠেছে সূর্য। সূর্যের কিরণে রোদ থাকলেও সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। সকালে রোদ থাকায় শীতের প্রভাব পড়ছে না কোনও কাজকর্মে। সকালেই কাজে বেরিয়েছেন চা ও পাথর শ্রমিক, দিনমজুর থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। ভোরে শিশিরভেজা সতেজ শাকসবজি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
আরো পড়ুন : উত্তরের জনপদে হাড় কাঁপাচ্ছে কনকনে শীত
সবজি চাষি দারাজ উদ্দিন ও আমজাদ আলী বলেন, দিনের বেলা গরম হলেও সন্ধ্যার পর থেকেই ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীত অনুভব হতে থাকে। রাত বাড়তে থাকলে শীতের মাত্রাও বাড়তে থাকে। এমন শীত মনে হচ্ছে পৌষ মাস। ভোর পর্যন্ত কনকনে শীত থাকায় রাতে লেপ, কম্বল নিতে হয়। তবে সকাল ১০টার পর আর ঠান্ডা থাকে না। দুই রকম আবহাওয়ার কারণে প্রায় ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি, কাশিও শ্বাসকষ্টে ভুগছে মানুষ।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন