ছবি : সংগৃহীত
অনেক শিশুই আছে পানি খেতে চায় না। পানি খাওয়ার কথা বললেই ছুটে পালায়। যার ফলে বেশীরভাগ শিশুদেরই শরীরে পানির ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
মানবদেহে পানি অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি শরীরে রক্ত থেকে শুরু করে প্রস্রাব, উৎসেচক তৈরি, শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তাই বড় কিংবা শিশু সবার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকা ভীষণ জরুরি। আর এ কারণে শিশুকে পানি খাওয়াতে কিছু কৌশল অনুসরণ করতে পারেন।
১. বুঝিয়ে বলুন
শিশুদের বকা দিয়ে সব সময়ে কাজের কাজ না-ও হতে পারে। তাকে পানির গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝিয়ে বলুন। এমনকি পানি না খেলে তার কী কী সমস্যা হতে পারে, সেই বিষয়গুলি সম্পর্কেও তাকে জানান। পানির তৃষ্ণা পেলে মুখ শুকিয়ে যেতে পারে, প্রস্রাব করতে গেলে অসুবিধা হতে পারে, হঠাৎ পায়ের পেশিতে টান ধরতে পারে। এগুলো সম্পর্কে শিশুকে সচেতন করুন। কয়েকদিন বললে ধীরে ধীরে সে বিষয়টা বুঝবে।
২. ফল ও সবজি
যে সব ফল বা সবজিতে পানির ভাগ বেশি, সে সব খাবার শিশুকে বেশি করে খাওয়াতে হবে। আনারস, তরমুজ, শসা, কমলা এই জাতীয় ফলে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। এ ছাড়া, সবুজ শাকসবজিতেও পানির পরিমাণ বেশি। তাই শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতে এগুলি খাওয়ানোই শ্রেয়।
আরো পড়ুন : আপনার সন্তান কতটুকু লম্বা হবে, জেনে নিন
৩. অভ্যাস তৈরি করা
পানি খাওয়ার অভ্যাস চাইলেই এক দিনে করানো যায় না। শিশুদের সেই অভ্যাস তৈরি করতে হবে। তাকে পানি খাওয়ানোর বদলে নিজের হাতেই খেতে দিন। শিশুর পানি খাওয়ার জন্য আলাদা গ্লাস ও বোতল বরাদ্দ রাখুন। ঘুম থেকে উঠে সবার আগে পানি খাওয়ানোর অভ্যাস করান। ছোট থেকে এই অভ্যাসগুলি তৈরি হলে একটা সময়ের পর সন্তান নিজেই পানি খেতে চাইবে।
৪. আপনাকে দেখেই শিখবে
ছোটরা অনুকরণপ্রিয়। তারা দেখে দেখেই শেখে। তাই শিশুর মধ্যে পানি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে চাইলে আপনাকেও বার বার তার সামনে পানি খেতে হবে। তা হলেই শিশুর মধ্যে পানি সম্পর্কে আগ্রহ জন্মাবে।
৫. খেলার ছলে পানি খাওয়ান
অনেক সময়ে আদর করে, ভালোবেসে তাদের বুঝিয়েও কাজ হয় না। তাদের বুদ্ধির সামনে কোনও ফন্দিফিকিরই কাজে লাগে না। তখন খেলার ছলে, গল্প বলে, মজা করে পানি বা বিকল্প হিসাবে ফলের রস, ডাবের পানি, স্যুপ খাওয়াতে পারেন।
৬. ডাবের পানি খাওয়ান
শিশু পানি খেতে না চাইলে তাকে দিনে অন্তত একটা ডাবের পানি পান করাতেই হবে। এতে তার শরীরের পানির ঘাটতি কিছুটা হলেও মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। এমনকি তার শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্যও ফিরে আসবে। সহজে পানি শূন্যতা হবে না।
৭. ফলের রস
ডাবের পানি ছাড়াও এই সমস্যা সমাধানে শিশুকে বাড়িতে মৌসুমি ফলের জুস করে খাওয়াতে পারেন। এতে একদিকে যেমন শিশুর শরীরে পানির ঘাটতি মিটবে তেমনি ভিটামিন ও খনিজের অভাবও পূরণ হবে। তবে দোকান থেকে কেনা জুস না খাওয়ানোই ভালো।
এস/এসি