ছবি: সংগৃহীত
আগামী রোববার থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নতুন বায়োমেট্রিক প্রবেশ পরীক্ষাব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। এর ফলে বাংলাদেশি, ব্রিটিশ দর্শনার্থীসহ সব অ-ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত নাগরিকের ব্লকটিতে যাতায়াতের ধরনে পরিবর্তন আসবে।
নতুন এই প্রবেশ বা প্রস্থানব্যবস্থা অনুসারে, প্রথমবার শেনজেন এলাকায় প্রবেশ করার সময় সব অ-ইইউ নাগরিককে তাদের ব্যক্তিগত বিবরণ, যার মধ্যে আঙুলের ছাপ ও মুখের ছবি অন্তর্ভুক্ত, তা নিবন্ধন করতে হবে।
শেনজেন অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে আয়ারল্যান্ড ও সাইপ্রাস ছাড়া সব ইইউ দেশ এবং এর সঙ্গে আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও লিচেনস্টাইন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্ত ক্রসিংগুলোতে পর্যায়ক্রমে তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে এবং আগামী বছরের ১০ই এপ্রিলের মধ্যে এর সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হবে। এর মাধ্যমে ইইউ নিশ্চিত যে, সীমান্তে দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হবে না।
নতুন ইলেকট্রনিকব্যবস্থাটি ইইউয়ের বহিরাগত সীমান্তে ম্যানুয়ালি পাসপোর্টে সিল মারার প্রয়োজনীয়তা সরিয়ে দেবে। পরিবর্তে, এটি বায়োমেট্রিক ব্যবহার করে একটি ভ্রমণ নথিকে ব্যক্তির পরিচয়ের সঙ্গে যুক্ত করে একটি ডিজিটাল রেকর্ড তৈরি করবে।
ইইউ তাদের বহিরাগত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা আধুনিক করতে, অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ করতে, পরিচয় জালিয়াতি মোকাবিলা করতে এবং সময়সীমা লঙ্ঘনকারীদের শনাক্ত করতে চায়।
এ ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে যে, ভিসা ছাড়া ভ্রমণকারীরা ১৮০ দিনের মধ্যে ৯০ দিন থাকার নিয়মটি মেনে চলছেন কি না।
প্রথমবার শেনজেন এলাকায় আসা প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার পাসপোর্ট স্ক্যান করতে হবে, আঙুলের ছাপ ও মুখের স্ক্যান সরবরাহ করে নিবন্ধন করতে হবে।
প্রস্থানের সময়, ভ্রমণকারীদের বিবরণ EES ডেটাবেইসের সঙ্গে যাচাই করা হবে, যাতে তারা থাকার সময়সীমার বর্তমান নিয়মাবলি মেনে চলেছেন ও প্রস্থান নিবন্ধন করেছেন কি না, তা নিশ্চিত করা যায়। পরবর্তী ভ্রমণগুলোতে কেবল মুখের বায়োমেট্রিক যাচাইকরণের প্রয়োজন হবে।
১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের EES-এর অধীনে নিবন্ধন করতে হবে। তবে তাদের কেবল একটি ছবি তোলা হবে। ভ্রমণকারীদের EES-এর জন্য কোনো ফি দিতে হবে না।
চেকিং বা পরীক্ষা শেনজেন এলাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বন্দর, ট্রেন টার্মিনাল ও সড়ক সীমান্ত ক্রসিংগুলোতে হবে।
তবে ডোভার বন্দর, ফোকস্টোনের ইউরোটানেল টার্মিনাল ও লন্ডন সেন্ট প্যানক্রাসের ইউরোস্টার টার্মিনালে EES নিবন্ধন যুক্তরাজ্য থেকে প্রস্থানের সময় করতে হবে।
এই চেকিং ফ্রান্সের সীমান্ত কর্মকর্তারা তদারকি করবেন। যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছানোর পর তারা আবার প্রস্থান না করা পর্যন্ত এই চেকিং আর করার প্রয়োজন হবে না।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন