ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির রূপান্তরের জন্য বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন- এ কথা জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে জার্মানির অভিজ্ঞতা ও সহযোগিতা বিশেষ অবদান রাখবে বলে আশা করছি।
বুধবার (২০শে মার্চ) জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত 'বার্লিন এনার্জি ট্রানজিশন ডায়ালগ-২০২৪' এর দ্বিতীয় দিনে জার্মানির স্টেট সেক্রেটারি ও ফেডারেল ফরেন অফিসের ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট অ্যাকশনের বিশেষ দূত জেনিফার লি মরগ্যানের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ১৮ কোটি মানুষের দেশে জীবাশ্ম জ্বালানি হতে নবায়নযোগ্য জ্বলানিতে যেতে দক্ষ অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। এতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন।
জার্মানি প্রযুক্তি ও আর্থিক (গ্রান্ড বা লোন) সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসলে বাংলাদেশ তাতে স্বাগত জানাবে- এ কথা জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সার্বিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। এমন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশ অর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।
আরো পড়ুন : ঈদে নতুন টাকা মিলবে ৩১শে মার্চ থেকে
তিনি আরও বলেন, আগামী মে মাসে জার্মানির সাথে সরকারি পর্যায়ে যে সংলাপ হবে তাতে আমি আশা করি, সেখান থেকে বায়ুবিদ্যুৎ ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশটির অংশগ্রহণ বাড়বে।
জার্মানির স্টেট সেক্রেটারি ও ফেডারেল ফরেন অফিসের ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট অ্যাকশনের বিশেষ দূত জেনিফার লি মরগ্যান বলেছেন, কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে একটি বাসযোগ্য পরিবেশ সৃজনে জার্মানি অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। জ্বালানি নিরাপত্তা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে আমরা একযোগে কাজ করতে পারি। তিনি এসময় পারষ্পরিক সহযোগিতার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।
এস/ আই.কে.জে/