ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
প্রতি বছর বিভিন্ন সময়ে বকেয়া বেতনের দাবিতে, বিশেষ করে ঈদের আগে পোশাকশ্রমিকদের বেতন-বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করতে দেখা যায়। এ প্রেক্ষাপটে শ্রমিকদের সময়মতো ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
মঙ্গলবার (৪ঠা জুন) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, যথাসময়ে নির্ধারিত মজুরি নিশ্চিত করা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। শ্রমিক অধিকার সুরক্ষা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এর বিকল্প নেই। প্রাপ্য মজুরিই তাদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু প্রাপ্য মজুরি যথাসময়ে না পাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন সংগঠন পোশাকশ্রমিকদের পক্ষে মে মাসের প্রাপ্য বেতন ও ঈদুল আজহার বোনাস পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে। ওই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কমিশনের নজরে এসেছে।
প্রতি বছর বিভিন্ন সময়ে বকেয়া বেতনের দাবিতে এবং বিশেষ করে ঈদের আগে পোশাকশ্রমিকদের বেতন-বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করতে দেখা যায়। এ প্রেক্ষাপটে শ্রমিকদের সময়মত ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতকরণ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মানবাধিকার এবং শ্রম অধিকারের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ১৯৪৮ সালে ঘোষিত জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণাপত্রের ধারা-২৩ এ ন্যায্য ও অনুকূল পারিশ্রমিক লাভের অধিকারের কথা উল্লেখ রয়েছে।
এক্ষেত্রে আমাদের সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি ও আইনি বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। যথাসময়ে নির্ধারিত মজুরি নিশ্চিত করা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। শ্রমিক অধিকার সুরক্ষা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এর বিকল্প নেই। প্রাপ্য মজুরিই তাদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। এক্ষেত্রে, প্রাপ্য মজুরি যথাসময়ে না পাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
কোনো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী যাতে শ্রমিকদের ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে এবং শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে, সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ঈদুল আজহার ছুটি শুরুর আগেই শ্রমিকদের মে মাসের বেতন এবং ঈদুল আজহার বোনাস পরিশোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে কমিশন।
ওআ/