ছবি: সংগৃহীত
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সাপে কাটা ছয়জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন প্রমাণস্বরূপ বিষধর সাপও নিয়ে হাসপাতালে চলে আসেন।
জানা গেছে, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চারোল ইউনিয়নের মইনুল ইসলাম বস্তায় করে সাপ নিয়ে হাসপাতালে চলে আসেন। গতকাল শনিবার (২৭শে সেপ্টেম্বর) দুপুরে উঠানে কাজ করার সময় তার পায়ে কামড় দেয় সাপটি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাকে তাৎক্ষণিকভাবে অ্যান্টিভেনম দেন। এক দিনের চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।
মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা মইনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। তবে বুঝে গিয়েছিলাম, হাসপাতালে না গেলে জীবন বাঁচানো মুশকিল। তাই সাপটিকেও নিয়ে গিয়েছিলাম, যেন ডাক্তাররা সহজে বুঝতে পারেন, কোন সাপ কামড়েছে।’
আজ রোববার বিকেলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মনজুরুল ইসলাম ফুয়াদ বলেন, বর্ষা শুরু হওয়ায় জেলাজুড়ে সাপের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ছয়জন সাপে কাটা রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও সদর, বালিয়াডাঙ্গী ও রাণীশংকৈল উপজেলার বাসিন্দা রয়েছেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফিরোজ জামান জুয়েল বলেন, ‘সাপে কাটা রোগীদের জন্য হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে পাঁচজন ভর্তি হন। বর্ষা ও শরৎকালে এ সংখ্যা দ্বিগুণ হয়। তাই অনুরোধ করছি, সাপে কাটলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে আসুন। ঝাড়ফুঁক করলে জীবনহানির ঝুঁকি বেড়ে যায়।’
খবরটি শেয়ার করুন