ছবি : সংগৃহীত
অনেকে দ্বিধায় থাকেন, কখন দৌড়ালে সবচেয়ে বেশি উপকার মেলে? একদম খালি পেটে? নাকি কিছু খেয়ে তারপর? এ বিষয়ে নানা মত আছে।
ইংল্যান্ডের নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দাবি করেছেন, ভোরবেলা খালি পেটে হাঁটা বা দৌড়ানোর অনেক উপকারিতা রয়েছে। কী কী উপকারিতা মেলে এতে? চলুন জানা যাক-
দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে
জিমে গিয়ে ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে শরীরচর্চা করার সময় নেই যাদের, কিন্তু দ্রুত মেদ ঝরাতে চান, তাদের জন্য দৌড়ানোর চেয়ে ভালো ব্যায়াম আর নেই। তবে কেবল দৌড়ালেই হলো না, তারও কিছু নিয়ম, গতি ও সময় আছে।
নটিংহামের গবেষকদের মতে, সকাল সকাল খালি পেটে দৌড়লে শরীরে জমা বাড়তি মেদ দ্রুত ঝরে যায়। অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে চাইলে খালি পেটে দৌড়ানোর পরামর্শই দিচ্ছেন গবেষকরা। এতে তলপেটের মেদ খুব তাড়াতাড়ি ঝরে যায়। ওজনও দ্রুত কমে।
আরো পড়ুন : আপনার কি অন্যদের থেকে বেশি শীত লাগে? জেনে নিন কারণ
শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে
সকালে খালি পেটে হাঁটলে বা দৌড়ালে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়। ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতি দিন সকালে খালি পেটে দৌড়ানোর পরামর্শই দিচ্ছেন গবেষকরা।
হজমপ্রক্রিয়া উন্নত করে
সকালে খালি পেটে অন্তত ১৫ মিনিট দৌড়ালে হজমপ্রক্রিয়া উন্নত হবে। গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও দূর হবে। শরীরে হরমোন ক্ষরণের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এটি।
মন ভালো থাকে
গবেষকদের মতে, দৌড়ালে শরীর যেমন তরতাজা থাকে, তেমনি ভালো থাকবে মনও। কারণ দৌড়ালে শরীরে এন্ডরফিন নামক ‘সুখানুভূতি সৃষ্টিকারী হরমোন’-এর নিঃসরণ বেড়ে যায়। ফলে মনমেজাজ ভালো থাকে। কমে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা, উদ্বেগ।
অনিদ্রা দূর হয়
খালি পেটে হাঁটলে বা দৌড়ালে অনিদ্রার সমস্যাও দূর হবে। দৌড়ালে সারা শরীরের পেশির ব্যায়াম হয়। অক্সিজেন কোষে কোষে গিয়ে পৌঁছায়। ঘুমের সমস্যা থাকলে তা চটজলদি দূর হয়।
তবে গবেষকরা বলছেন, খালি পেটে দৌড়ালে খেয়াল রাখতে হবে যেন শরীরে পানির ঘাটতি না হয়। দৌড়ানোর মাঝেমাঝে খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে অল্প অল্প করে পানি খেতে পারেন। কারণ দৌড়ালে প্রচুর ঘাম হয়। এতে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এছাড়া শরীরে পানির ঘাটতি হলে ‘মাসল ক্র্যাম্প’ হতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন