ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরির অফার দিয়েছেন আলোচিত দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে শিক্ষক মাহতাবকে এ চাকরির অফার করেন তিনি।
লাইভের শুরুতে আরাভ খান বলেন, আমি বাংলাদেশের কিছু প্রতিবন্ধী নিয়ে কথা বলতে চাই। আমি জানি না তাদের ভেতরে শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে কিনা। তবে এতটুকু বলতে পারি, ওদের ভেতর যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকত, আসিফ মাহতাব ভাইয়ের মতো একটা মানুষের চাকরি ওরা কেড়ে নিতো না।
আরাভ খান বলেন, আপনারা ক্লাস সেভেনে পড়া একটা বাচ্চারে যদি শেখান সমকামিতা, পুরুষে-পুরুষে, নারীতে নারী কেমনে অবৈধ সম্পর্ক করা... যৌন সম্পর্ক কেমনে করতে হয়- এগুলো শেখান, তাহলে তারা কি শিখবে? ওটাই তো শিখবে যে আমাদের বইতেই তো ওটা শিখিয়েছে। যেটা আপনারা জানতেন না, অনেক মুরুব্বি এখনো আছে, যারা জানে না সমকামিতা কি, তারা তো কখনও শোনেও নাই। কোন ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ গাজা খেলে এসব মন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এগুলো অ্যাপ্রুভাল দেয়, এটা আমার জানা নাই।
লাইভে আলোচিত এ স্বর্ণ ব্যবসায়ী বলেন, আসিফ ভাইয়ের চাকরি নিয়ে নিয়েছে একটি প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানে যত বেতন দিতো, তার ডাবল বেতন দিয়ে আমি আসিফ ভাইকে চাকরি দেবো। আসিফ ভাই যদি চাকরি করতে না চায়, তাহলে আপনিও (আসিফ) একটি ইউনিভার্সিটি কিংবা একটা কলেজ গড়ে তুলুন, আমি স্পন্সর করবো বাংলাদেশে। লাখো-কোটি মানুষের সামনে আমি ওয়াদা করে যাচ্ছি। আমি চাই আসিফ ভাইকে চাকরি দিতে।
প্রসঙ্গত, আসিফ মাহতাব ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন।
গত শুক্রবার (১৯শে জানুয়ারি) রাজধানীতে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এক আলোচনায় সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞান বইয়ের ‘শরীফার গল্প’ নামের একটি অংশ ছিঁড়ে ফেলে তিনি আলোচনায় আসেন।
এ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় নানা আলোচনার মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সোমবার (২২শে জানুয়ারি) এক বিবৃতি দিয়ে জানায়, আসিফ মাহতাবের সঙ্গে বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো চুক্তি নেই। বিবৃতিতে বলা হয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ‘একটি নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখার পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তি এবং সহিষ্ণুতা বজায় রাখতে’ দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এরপর আসিফ মাহতাব এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আমাকে এইমাত্র ফোন করে জানানো হয়েছে যে, আমি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ক্লাস না নিতে না যাই। আমি জানি না হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত তারা কেন নিলো। আমাকে কোনো কারণ তারা দেয়নি।’
ওআ/
খবরটি শেয়ার করুন