শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিমে না গিয়েই ওজন কমানোর উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:০৩ অপরাহ্ন, ২১শে এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

ওজন কমানোর জন্য অনেকে জিমে যান। কিছু সঠিক নিয়ম মেনে চললে ওজন কমাতে জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

ধারাবাহিকতা এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চললে ওজন কমানো সম্ভব। যদিও জিমে বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া এবং কাঠামোগত ওয়ার্কআউটগুলো করা সহজ, তবে এটি অপরিহার্য নয়। জিমে না গিয়ে ওজন কমানোর জন্য আপনাকে খাবারের তালিকায় পরিবর্তন, জীবনযাপনের ধরনে পরিবর্তন এবং দৈনন্দিন রুটিনে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ যোগ করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, জিমে না গিয়ে কীভাবে ওজন কমাবেন-

আরো পড়ুন : জেনে নিন মাশরুমের পুষ্টিগুণ, কীভাবে খাবেন

পুষ্টিকর খাবার খান

ফল, শাকসবজি, চর্বিহীন প্রোটিন, গোটা শস্য এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের মতো সম্পূর্ণ, ন্যূনতম প্রক্রিয়াজাত খাবার দিয়ে আপনার প্লেটটি পূর্ণ করুন। প্রক্রিয়াজাত খাবারের তুলনায় এই খাবারগুলো পুষ্টিকর, ভরপুর এবং কম ক্যালোরিযুক্ত। অতিরিক্ত শর্করা, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট এবং অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটযুক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। এই খাবারগুলো ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে এবং আপনার ওজন কমানোর লক্ষ্য বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

পরিমিত খান

অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে খাবারের পরিমাণের দিকে মনোযোগ দিন। অপ্রয়োজনীয় ক্যালোরি গ্রহণ রোধ করতে ছোট প্লেট ব্যবহার করুন, পরিবেশনের সময় পরিমাপ বুঝে নিন। ক্ষুধা এবং পূর্ণতার ইঙ্গিত সম্পর্কে সচেতন হোন। পেট মোটামুটি ভরে এলেই খাওয়া বন্ধ করুন।

হাইড্রেটেড থাকুন

সারাদিন প্রচুর পানি পান করে হাইড্রেটেড থাকুন। পানি বিপাক প্রক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়, ক্ষুধা দমন করে এবং টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। আপনি যদি শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকেন বা গরম আবহাওয়ায় থাকেন তবে প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। কোমল পানীয়, প্যাকেটের জুস এবং এনার্জি ড্রিংকসের মতো চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত ক্যালোরি ছাড়াই হাইড্রেশনের জন্য পানি, ভেষজ চা বা তাজা ফলের রস বেছে নিন।

ঘুমকে প্রাধান্য দিন

প্রতি রাতে ৭-৯ ঘণ্টা মানসম্পন্ন ঘুমের প্রতি লক্ষ্য রাখুন। অপরিমিত ঘুম হরমোনের মাত্রা ব্যাহত করে, ক্ষুধা এবং ওজন বাড়াতে পারে। একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ঘুমের সময়সূচী তৈরি করুন, ঘুমের পরিবেশ আরামদায়ক রাখুন। ভালো ঘুমের জন্য এসব দিকে খেয়াল রাখুন।

স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট

দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ ক্ষুধা এবং ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। গভীর শ্বাস, ধ্যান, যোগব্যায়াম বা প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটানোর মতো মানসিক চাপ কমানোর কৌশল অনুশীলন করুন। মানসিক চাপ মোকাবিলা করার জন্য স্বাস্থ্যকর উপায় খুঁজুন এবং সামগ্রিক সুস্বাস্থ্যের জন্য নিজের প্রতি আরও বেশি যত্নশীল হোন।

এস/ আই.কে.জে/


টিপস ওজন কমানো জিম

খবরটি শেয়ার করুন