ছবি : সংগৃহীত
মাশরুম, যা অনেকের কাছে ‘ব্যাঙের ছাতা’ বলেই পরিচিত। এ কারণে হয়তো অনেকেই খেতে চান না। তবে যারা এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেন, তারা ঠিকই খেয়ে থাকেন। মাশরুম ক্লোরোফিলবিহীন ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদ এবং নতুন ধরনের সবজি যা সম্পূর্ণ হালাল, সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও উচ্চখাদ্যশক্তি এবং ভেষজগুণে ভরপুর। এর মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ প্রোটিন আছে, যা অত্যন্ত উন্নত ও নির্ভেজাল। এতে উপকারী শর্করা ও চর্বি আছে। তবে অনেকেই আছেন যারা মাশরুমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অল্প কিছু জানলেও এটি কীভাবে খেতে হয় তা জানেন না।
মাশরুমের পুষ্টিগুণ এবং এটি খাওয়ার উপায় সম্পর্কে পুষ্টিবিদের মতামত চলুন জেনে নেওয়া যাক-
মাশরুম
মাশরুম হচ্ছে ছত্রাক পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার প্রজাতির মাশরুম পাওয়া গেছে। তবে সব ধরনের মাশরুম কিন্তু খাওয়া যায় না। বনে-জঙ্গলে পাওয়া মাশরুম বিষাক্ত। এ ক্ষেত্রে অর্গানিক বা নিজেদের চাষ করা মাশরুম খাওয়া যেতে পারে। বাটান, ওয়েস্টার ও পোর্টেবেলো ধরনের মাশরুম রয়েছে, যা খুবই জনপ্রিয়। আর যেখানে সেখানে পাওয়া নয়, নিজে চাষ বা অর্গানিক মাশরুম খাওয়া নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত।
পুষ্টিগুণ
মাশরুমে ওষধি গুণাগুণ রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ছাড়াও রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিবায়োটিক, মিনারেল, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ডি ও বি।
আরো পড়ুন : লেটুস পাতার গুণাগুণ
উপকারিতা
অনেকেই আছেন যারা ওজন কমাতে চান। এ ক্ষেত্রে তারা খাদ্যতালিকায় মাশরুম রাখতে পারেন। কারণ, মাশরুমে লো ক্যালোরি। যারা পেশি বাড়াতে চান তাদের প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন হয়। তারা প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাশরুম খেতে পারেন। এ ছাড়া মাশরুমে পেনিসিলিন থাকায় এটি অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। যা শরীরের জন্য উপকারী।
এ ছাড়া মাশরুম খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস কমানো, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ, হৃদযন্ত্র ভালো রাখা, কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস, ক্যানসার ও টিউমার প্রতিরোধ এবং শিশুদের হাড় ও দাঁত ভালো রাখার ক্ষেত্রে কার্যকর উপকার পাওয়া যায়।
খাওয়ার উপায়
সালাদ হিসেবে মাশরুম খেতে পারেন। আবার মাশরুমের স্যুপ, ক্রিম মাশরুম স্যুপ খুব জনপ্রিয়। কেউ কেউ সবজির সঙ্গে মাশরুম দিয়ে রকমারি রেসিপি তৈরি করেন। নুডুলসের সঙ্গে বা ফ্রাই করেও খেতে পারেন। এছাড়া চাইলে স্যুপে আস্ত ব্যবহার না করে মাশরুমের পাউডার করে মিশিয়ে খেতে পারেন।
সতর্কতা
মাশরুম কখনোই কাঁচা বা অল্প সেদ্ধ অবস্থায় খাওয়া যাবে না। পরিপূর্ণ সেদ্ধ বা রান্না হলে তবেই খেতে হবে। তা না হলে হজম ও অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশনের সমস্যা হতে পারে। আবার খাওয়ার আগে মাশরুম বিষাক্ত কিনা, সেটি নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।
যারা মাশরুম থেকে বিরত থাকবেন-
অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, আবার যদি কারও মাশরুম খাওয়ার পর অ্যালার্জির সমস্যা হয় তাহলে না খাওয়া ভালো। কিডনি রোগ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের মাশরুম খাওয়া ঠিক নয়। কারণ, এটি ছত্রাকজনিত প্রোটিন। এ ছাড়া হজমে সমস্যা বা পেটের সমস্যা হলেও না খাওয়াই ভালো।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন