মঙ্গলবার, ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩১শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** দোহায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা: ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে *** নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেছে ইসি *** এই মুহূর্তে বাংলাদেশ স্বাভাবিক গণতন্ত্রের দেশ নয়: আইরিন খান *** দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হিন্দু নেতাদের সাক্ষাৎ *** এই ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি হয়েছিল একটি ম্যাটিকুলাস প্ল্যানিংয়ের মাধ্যমে: মাহমুদুর রহমান *** কথিত গোয়েন্দা এনায়েতকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান এক পুলিশ কর্মকর্তা, প্রাডো গাড়িও দেন তাকে *** তিন স্ত্রীকে মৃত দেখিয়ে এসআইয়ের চতুর্থ বিয়ে! *** কৃষকেরা আড়াই লাখ টাকা ঋণ পাবেন সিআইবি চার্জ ছাড়াই *** পৃথিবীর যে ১০ স্থানে মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ *** সুশীলার মন্ত্রিসভায় দুই আমলা ও এক আইনজীবী, আকার হবে সর্বোচ্চ ১৫

দাওয়াত না দেওয়ায় মাদ্রাসার সব খাবার খেয়ে গেলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:০৮ অপরাহ্ন, ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার আমতলী উপজেলার ন ম ম আমজাদিয়া আলিম মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পেয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা সব খাবার খেয়ে এবং নষ্ট করে ফেলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত বৃহস্পতিবার (১১ই সেপ্টেম্বর) দুপুরের এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর নিন্দার ঝড় উঠেছে।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আলী হোসেন অভিযোগ করেন, মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটি ৪ঠা সেপ্টেম্বর গঠন করা হয়। আমতলী সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. ফজলুল হককে কমিটির সভাপতি করা হয়। কমিটির প্রথম সভা গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়। সভা উপলক্ষে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ৫০ জন আমন্ত্রিত অতিথির জন্য ওই দিন দুপুরের খাবারের আয়োজন করেন।

কিন্তু মাদ্রাসার সভায় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতা-কর্মীদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হন গুলিশাখালী ইউনিয়ন ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরে গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুব কাজী এবং সাধারণ সম্পাদক রিপন কাজীর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন নেতা-কর্মী এসে দাওয়াত না দেওয়ার কারণ জানতে চান।

একপর্যায়ে তারা শিক্ষকদের গালাগাল করেন এবং অতিথিদের জন্য রান্না করা সব খাবার খেয়ে ফেলেন। অবশিষ্ট খাবারে টিস্যু, উচ্ছিষ্ট এবং নোংরা পানি ফেলে তারা খাবার নষ্ট করে দিয়েছেন। এরপর তারা শিক্ষক-কর্মচারী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের হুমকি দিয়ে চলে যান।

এই ঘটনার পর রিপন কাজী তার ফেসবুক আইডিতে ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘ন ম ম আমজাদিয়া আলিম মাদ্রাসায় পিকনিকের কিছু স্মৃতি।’ বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর নিন্দার ঝড় ওঠে। স্থানীয়রা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুব কাজী খাবার খাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘মাদ্রাসায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠান করা হয়েছে এবং আমাদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তাই আমরা খাবার খেয়েছি, তবে কোনো খাবার নষ্ট করিনি।’

আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব তুহিন মৃধা এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত গর্হিত কাজ’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জে.এস/

বরগুনা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন