রবিবার, ৮ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঋতুর সঙ্গে শরীরের রং বদলায় এই শিয়াল!

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীতে এক ধরনের শিয়াল রয়েছে যারা ঋতুর সঙ্গে রং বদলায়। এই শিয়ালটির নাম ‘আর্কটিক’। এটি আকারে ছোট, ঠান্ডা-সহনশীল মাংসাশী স্তন্যপায়ী প্রাণি। যা উত্তর গোলার্ধের আর্কটিক অঞ্চলে পাওয়া যায়। 

শীতকালে আর্কটিক শিয়ালের পশম সম্পূর্ণ সাদা হয়ে যায়। বরফের মধ্যে মিশে থাকার জন্য এটি তাদের প্রধান কৌশল। গ্রীষ্মকালে বরফ গলে গেলে এদের পশম হালকা বাদামি, ধূসর বা নীলাভ-ধূসর রং ধারণ করে। এই রং তাদের চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে মিশে যেতে সাহায্য করে।

আর্কটিক শিয়ালের গড় ওজন ৩ থেকে ৯ কেজি এবং দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০ থেকে ৬৮ সেমি (১৬ থেকে ২৭ ইঞ্চি) হয়।

এরা শীত থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য পা ও মাথা শক্ত করে কুঁজো করে শরীরের নিচে কিংবা লোমশ লেজের পেছনে আটকে রাখে।

আরো পড়ুন : প্রাচীন সাগরের মিষ্টি ছায়ায় জীবনযাপন ছিল ভ্যাকিটার!

আর্কটিক শিয়াল লেমিংস, সমুদ্র-উদ্ভিদ, মাছ, জলপাখি এবং সামুদ্রিক পাখির মতো অনেক ছোট প্রাণী শিকার করে। এরা গ্রীষ্মকালের মতো শীতকালে যথেষ্ট খাবার সংগ্রহ করতে পারে না। এর প্রধান কারণ হলো শীতকালে খাদ্য উৎসের অভাব। গ্রীষ্মকালে খাদ্য এবং শিকারের জন্য প্রচুর জীবজন্তু থাকে। কিন্তু শীতকালে প্রায় সবকিছুই বরফের নিচে চাপা পড়ে থাকে। ফলে এদের খাদ্য সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

শিয়ালগুলো বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ, যেমন গর্জন, চিৎকার এবং শরীরের ভঙ্গি ও গন্ধের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আর্কটিক শিয়াল সাধারণত একা থাকতেই পছন্দ করে। তবে প্রজনন মৌসুমে এরা জোড়ায় জোড়ায় থাকে। প্রতি বছর একবার শীতের শেষে বা বসন্তের শুরুতে এরা প্রজনন করে।

আর্কটিক শিয়াল প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি, যা চরম পরিবেশেও বেঁচে থাকার অসাধারণ ক্ষমতা রাখে। তাদের অভিযোজন, খাদ্যাভ্যাস এবং রং পরিবর্তনের ক্ষমতা প্রকৃতির বৈচিত্র্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

সূত্র: আইইউসিএন রেড লিস্ট অব ত্রেটিয়েন্ড স্পেসিয়াস

এস/ আই.কে.জে/

শিয়াল

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন